• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০১৯, ০৩:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৬, ২০১৯, ০৩:১৩ পিএম

বরিশালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর

বরিশালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের হামলায় কমপক্ষে ৬ জন আহত ও এক শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনে কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করেছে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১টার দিকে নগরীর বটতলা এলাকায় সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে এই হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তানভীর নামের এক ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তানভীর ইলেকট্রনিক্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

অন্যান্য আহতরা হলেন- ইলেকট্রনিক্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৈয়দ সাহরুল শান্ত, রাব্বি গাজী, মাহিন, ট্যুরিজম প্রথম বর্ষের ছাত্র ওমর, নাঈম ও মাহিন।

এছাড়া লাঞ্ছিত হওয়া শিক্ষক হলেন- পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্র মেডিকেল বিভাগের চিফ ইন্সটেক্টর ও মুক্তিযোদ্ধা ছাত্রাবাসের হল সুপার আনিসুর রহমান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানাগেছে, পলিটেকনিক ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী সৈয়দ সাহরুল শান্ত, রাব্বি ও তানভীর ক্যাম্পাসে ছাত্রাবাসের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলো। এসময় পলিটেকনিকের সাবেক ছাত্র ও বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন শান্ত এবং রাফিসহ ১০/১২ জন বহিরাগত ক্যাম্পাসে ঢুকে ওই তিন জনকে ডেকে মারধর করে।

এর প্রতিবাদ করেন ওই ছাত্রদের সহপাঠীরা। এমনকি তারা চিফ ইন্সটেক্টর আনিসুর রহমান এর কাছে বিচার চাইতে যান। এসময় শিক্ষক আনিসুর রহমান তাদের অভিযোগ না শুনে বহিরাগতদের পক্ষ নিয়ে ওমর ও নাঈমল ইসলামকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন কয়েকটি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করে। পাশাপাশি শিক্ষক আনিসুর রহমানকে লাঞ্ছিত করেন। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চিফ ইন্সটেক্টর আনিসুর রহমান বলেন, বহিরাগত নয়, বরং ক্যাম্পাসে ছাত্রদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছে। ছাত্ররা মহিন নামের এক ছাত্রকে মারধর করে। এজন্য সে ভয়ে দৌড়ে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে পালিয়ে থাকে। পরে আমি গিয়ে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করি।

তিনি বলেন, ‘সাজ্জাদ নামের যে ছেলেটির নামে অভিযোগ করা হয়েছে সে পূর্বে আমাদের ছাত্র ছিল। কিন্তু এখন আর নেই। তবে যে ঝামেলা হয়েছে তা সাজ্জাদের সঙ্গে নয়, ছাত্ররা নিজেরা নিজেরাই করেছে। আমি ওদের নিবৃত করতে গেলে শিক্ষার্থীদের একপক্ষ আমার সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। তবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ সত্য নয়।

এদিকে, কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছে। এর জের ধরে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।


কেএসটি