• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০১৯, ০৯:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১০, ২০১৯, ০৯:২৩ পিএম

কীটনাশকের দোকানেই চলছে কোচিং বাণিজ্য

কীটনাশকের দোকানেই চলছে কোচিং বাণিজ্য

সরকার ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লক্ষ্মীপুরে চলছে কোচিং বাণিজ্য। উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে বাসা-বাড়ি ভাড়া নিয়ে স্কুল শিক্ষকরা এ কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, কীটনাশক দোকানে কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছেন দুই স্কুল শিক্ষক। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষার্থীরা। গত রোববার (৭ এপ্রিল) বিকালে সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের হাজিরহাট বাজার এলাকায় গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, দীর্ঘদিন যাবত সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের হাজির হাট বাজার এলাকায় বিসমিল্লাহ বাণিজ্য বিতান নামে অনুমোদনহীন কীটনাশক দোকানে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থীদের কোচিং করাচ্ছেন দুজন শিক্ষক। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে  নেয়া হচ্ছে মাসিক ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। ফলে অভিবাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকরা হলেন- সাঈদুর রহমান ও আনোয়ার হোসেন। তারা উপজেলার টুমচর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডস্থ আব্দুল হাশিমের ছেলে এবং শাকচর কেয়ারফুল স্কুলের শিক্ষক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকার ও আদালতের নিদের্শনাকে উপেক্ষা করে শহরের ঝর্ণা ফার্মেসি এলাকা, বাগবাড়ী, মদিন উল্যাহ হাউজিং, বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন, মহিলা কলেজ এলাকা, শেখ রাসেল সড়ক, কলেজ রোড এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। অথচ কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সরকারি নীতিমালা থাকলেও লক্ষ্মীপুরে এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি প্রশাসনকে।

এছাড়াও জেলা সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, কমলনগর, রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গোপনে চলছে কোচিং বাণিজ্য।

কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত শিক্ষক সাঈদুর রহমান ও আনোয়ার হোসেন জানান, আমাদের ভুল হয়ে গেছে। আমরা দূর্বল শিক্ষার্থীদের স্কুলের মধ্যেই কোচিং করিয়ে থাকি। অল্প কিছুদিনের জন্য কীটনাশক দোকানে কোচিং করাচ্ছি। এখানে আর কোচিং করাবো না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসসি/