• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০১৯, ০২:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১২, ২০১৯, ০৮:৩৭ পিএম

একটি সেতুর অভাবে ১৫০ পরিবারের দুর্বিষহ জীবন

একটি সেতুর অভাবে ১৫০ পরিবারের দুর্বিষহ জীবন

একটি সেতুর অভাবে নানা রকম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চরমাধবরাম সরদার পাড়া গ্রামের ১৫০ পরিবার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ধরলা সেতুর পূর্ব পাড় থেকে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চরমাধবরাম সরদার পাড়া গ্রাম দিয়ে পাংগারচর হয়ে পাটেশ্বরী স্লুইচ গেট পর্যন্ত একটি শাখা নদী প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু এই শাখা নদীতে কোনো সেতু না থাকায় এ অঞ্চলের মানুষ নানা ভোগান্তিতে রয়েছেন। শুকনো মৌসুমে কোনো রকমে পথ চলতে পারলেও বর্ষার সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে। তখন এই শাখা নদীর পাড়ে বসবাসরত মানুষের জীবন-যাপন প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ওই সময় স্থানীয় কৃষকসহ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ গন্তব্য ও প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে নানা রকম ভোগান্তির শিকার হন। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বেশি থাকায় অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারেন না। এতে করে শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ছে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় আব্দুল মজিদ, পোশ উদ্দিন, মাইদুল ও মমিনুল ইসলাম জানায়, আমাদের এই চরমাধবরাম সরদার পাড়া এলাকায় একটি সেতু নির্মাণ হলে সরদার পাড়া, মাঠের পাড়, পাংগারচর, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার মানুষের জীবিকা নির্বাহ করা অনেক সহজ হত। প্রায় ১২শ মানুষ উপকৃত হতেন। বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানির কারণে আমরা বাজারে যেতে পারি না। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিও সময়মত কিনতে পারি না। তাছাড়া মুমুর্ষ রোগীকে যথা সময়ে হাসপাতালে নিতে পারি না।

শিক্ষার্থী রানা মিয়া, বাবু ও আমেনা জানায়, শুকনো মৌসুমে স্কুলে যেতে পারলেও বর্ষাকালে আমরা স্কুলে যেতে পারি না। বর্ষায় পানিতে স্রোত বেশি থাকে। অনেক সময়ই নৌকা না থাকায় আমরা পারাপার হতে পারি না।

ভোগডাঙ্গা ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ জানান, বন্যার সময় এ নদীর পানির কারনে সমস্ত এলাকা ভেসে যায়। তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে। এলাকার মানুষ নানা ধরণের ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। তারা নিয়মিত বাজারে যেতে পারেন না।

ভোগডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এসসি/