• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০১৯, ০৫:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৮, ২০১৯, ০৫:৪৫ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণের পর তরুণীকে হত্যা, পাঁচজনের ফাঁসি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণের পর তরুণীকে হত্যা, পাঁচজনের ফাঁসি


চাঁপাইনবাবগঞ্জে আয়েশা খাতুন (২০) নামে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত আলী এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তিন জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।

ফাঁসির আদেশপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মালবাগডাঙ্গা গ্রামের শ্যামাপদ রবিদাসের ছেলে নয়ন কুমার রবিদাস (২৮), সোনাপট্টি গ্রামের রেন রবিদাসের ছেলে প্রশান্ত রবিদাস (২২), চাকপাড়া গ্রামের রতন রবিদাসের ছেলে নিতাইচন্দ্র রবিদাস (২৬), সুচেন দাসের ছেলে সুভাষ দাস (৪২) ও খোকন রবিদাসের ছেলে প্রশান্ত রবিদাস (২৪)। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে নয়ন কুমার রবিদাস ও প্রশান্ত রবিদাস উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক রয়েছেন।

বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার বাথানপাড়া গ্রামের অনীল শিলের ছেলে শ্রীকৃষ্ণ (২৩), হরিশপুরের আতাবুরের ছেলে আব্দুর রহিম (৩৫) ও রাজশাহীর জিয়া কলোনির আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী সোহাগী বেগম (২৭)।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে আদালতের অতিরিক্ত পিপি আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, ২০১৫ সালের ১৪ জুন সদর উপজেলার মহারাজপুর মেলার মোড়ের একটি ডোবা থেকে কালিনগর বাবলাবোনা গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুনের (২০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে তার মৃত্যুর কারণ জানা না গেলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের পর হত্যার কথা উল্লেখ থাকায় ওই বছরের ১৫ আগস্ট সদর থানার এসআই শামীম আকতার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক সারোয়ার রহমান একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসামি নয়ন প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে আয়েশা খাতুনকে ১৩ জুন ডেকে সহযোগিদের নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

এসসি/