মাগুরার শ্রীপুরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের তত্ত্বাবধানে স্কুল মাঠে আয়োজিত বৈশাখী মেলায় জুয়ার আসর বসে। তা উচ্ছেদ করতে গেলে ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে পুলিশের উপর হামলা করা হয়।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে হামলার এ ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন আহত হন। হামলাকারীরা পুলিশকে সংবাদ দেয়ার সন্দেহে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রুবেল মাহমুদ ও তার ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, প্রতি বছর শ্রীপুর উপজেলার কুপুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয়ভাবে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। উক্ত মেলায় কাদিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নেপচুন বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে জুয়ার আসর বসে। বিষয়টি নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির নজরে আসলে এএসআই শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বুধবার রাতে জুয়ার কোর্ট উচ্ছেদ করতে যান। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা নেপচুনের নেতৃত্বে স্থানীয় ৮-১০ জন যুবক পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা করে। তাদের লাঠির আঘাতে পুলিশ কর্মকর্তা শরিফুল আহত হন। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেন। পরবর্তিতে সেখানে উপস্থিত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল মাহমুদকে পুলিশের কাছে জুয়ার কোর্টের খবর জানানোর সন্দেহে তার উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। হামলার শিকার রুবেল মাহমুদকে রক্ষা করতে তার বাবা আইয়ুব হোসেন, ছোট ভাই সোহেল রানা এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালায়। এ সময় তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী সোহেল রানা জখম হন। পরে স্থানীয়রা দুই ভাইকে উদ্ধার করে দ্বারিয়াপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল মাহমুদ জানান, নেপচুনের নেতৃত্বে সোহাগ, মন্নু, সুরুজসহ অন্তত ১০ জন আমাদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে বাধা দেয়ায় তারা আমার বাবা আইয়ুব হোসেন ও ছোট ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। এ সময় ছোট ভাই সোহেল রানাকে কুপিয়ে জখম করাসহ লাঠির আঘাতে বাবার হাতের একটি আঙ্গুল ভেঙে গেছে।

শ্রীপুর থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান জানান, মেলায় জুয়ার কোর্ট পরিচালনাকারী নাজমুলকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জুয়া আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এসসি/