• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০১৯, ০৩:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২১, ২০১৯, ০৩:৪১ পিএম

লক্ষ্মীপুরে সয়াবিন আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি

লক্ষ্মীপুরে সয়াবিন আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি
একটি সয়াবিন ক্ষেত

লক্ষ্মীপুরে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন হাজার হেক্টর বেশি জমিতে সয়াবিন আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলনও পাওয়া যাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে উৎপাদিত সয়াবিনের মধ্যে লক্ষ্মীপুরে উৎপাদন হয় প্রায় ৮০ ভাগ। জেলায় চলতি মৌসুমে ৪৫ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৪৮ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ছয় হাজার ৫৬০ হেক্টরের বিপরীতে ৯ হাজার হেক্টর, রায়পুর উপজেলায় ছয় হাজার ১০৫ হেক্টরের বিপরীতে সাত হাজার হেক্টর, রামগঞ্জ উপজেলায় ৮৫ হেক্টরের বিপরীতে ৩৫ হেক্টর, রামগতি উপজেলায় ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টরের বিপরীতে ১৭ হাজার ৭০০ হেক্টর এবং কমলনগর উপজেলায় ১৪ হাজার ৫৫০ হেক্টরের বিপরীতে ১৪ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে সয়াবিনের আবাদ হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ছয় হাজার ৫৫ হেক্টর বেশি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌষ মাসের শুরু থেকে ফাল্গুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত সয়াবিন বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। একর প্রতি সয়াবিন উৎপাদনে খরচ হয় ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আবার একর প্রতি উৎপাদিত সয়াবিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। অল্প পুঁজিতে কম সময়ে অধিক ফলন পাওয়ায় সয়াবিন চাষে লক্ষ্মীপুরের চাষিরা এগিয়ে আসেন। গত মৌসুমে সয়াবিন উৎপাদনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রকৃতি। শুরুতেই অতি বৃষ্টির কারণে সয়াবিন আবাদে বেগ পেতে হয়। চলতি রবি মৌসুমে আবাদি জমিগুলোতে আগাছা পরিষ্কারের কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এবার সয়াবিনের আশাতীত ফলন পাওয়া যাবে এমন আশা করছেন জেলার কৃষকেরা।

সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের সয়াবিন চাষি আবদুল মান্নান জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ১২০ শতক জমিতে সয়াবিন আবাদ করেছেন। কয়েক দিন আগে হয়ে যাওয়া বৃষ্টি ফসলটির জন্য খুব ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার সয়াবিনের ভালো ফলন পাবেন তিনি।

রায়পুর উপজেলার চরবংশী গ্রামের ইউসুফ মোল্লা জানান, চলতি মৌসুমে মাঘ মাসের শুরুতেই তিনি ৮০ শতক জমিতে সয়াবিন আবাদ করেন। ভালো ফলন পাওয়ার আশায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখন জমিতে সার, কীটনাশক ও পরিচর্যায় সময় পার করছেন । আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ভালো ফলন পাওয়া যাবে।

সদর উপজেলার চররমনীমোহন গ্রামের মাহফুজ মিয়া জানান, চলতি মৌসুমের পৌষ মাসের শুরুতেই তিনি বীজ বপন করেছেন। এখন ক্ষেত পরিচর্যা করছেন। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরুতে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার সয়াবিনের আবাদ বেশি হয়েছে। সয়াবিনের ভালো ফলন পেতে কৃষককে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এসসি/এসজেড