• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০১৯, ১১:৪৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৩, ২০১৯, ০৫:৫১ পিএম

বানিয়াচংয়ে ধানকাটা শ্রমিকের সংকট, দিশেহারা কৃষক  

বানিয়াচংয়ে ধানকাটা শ্রমিকের সংকট, দিশেহারা কৃষক  

বানিয়াচং উপজেলাজুড়ে ধানকাটা শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে সময়মতো ধান ঘরে তুলতে না পারার শঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। হাওরপাড়ের কৃষক সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মকার হাওর, কাকদারের হাওর, নলাই হাওর, চাক্কুয়া হাওর, করতির হাওর, হেওলি হাওর, হুনা তলার হাওর, জিলুয়ার হাওর, হোন্ডার হাওরসহ বড় বড় বোরো ফসলি হাওরে ধান কাটতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, পাবনা এবং কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শ্রমিক আসতো। কয়েক বছর ধরে শ্রমিক আসা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। চলতি বছর মাত্রাতিরিক্তভাবে দেখা দিয়েছে ধানকাটা শ্রমিক সংকট।

কৃষকরা জানান, উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে কিছু শ্রমিক পাওয়া যেত। তারা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার ইটভাটায় কাজ নেওয়ায় এখন ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। শ্রমিক সংকটে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাহত হচ্ছে ধানকাটা-মাড়াই। কাগাপাশা, দৌলতপুর, বড়উড়ি, সুজাতপুর, মুরাদপুর, সুবিদপুর, পৈলার কান্দি, খাগাউড়া ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কালবৈশাখির তা-বে পাকা ও আধাপাকা ধান জমিতে পড়ে গেছে। ফসল ঘরে তুলতে বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে কৃষককে। তারপরও মিলছে না শ্রমিক। 

কাগাপাশা ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামের কৃষক ইজাজুল ইসলাম তালুকদার জানান, তিনি বোরো ধান রোপণের পর থেকে ধানকাটা শ্রমিক খুঁজছেন। কিন্তু পাচ্ছেন না। গত বছর বাংলাদেশ সরকারের ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে একটি ধান কাটার রিপার মেশিন কিনেছেন। কিন্তু এটি দিয়ে ধান কাটা যাচ্ছে না। এ মেশিনে অনেক নিচু অংশে ধান গাছ কাটতে হয়। এতে ধান মাড়াই ও ট্রলি দিয়ে হাওর থেকে কাটা ধান বহনে সমস্যা হচ্ছে। 

বানিয়াচং উপজেলা কৃষি অফিস সহকারী কৃষি সম্পাসারণ কর্মকর্তা জগদীশ চন্দ দাস দৈনিক জাগরণকে বলেন, আমরা গত বছর আর এ বছর ভর্তুকিতে কৃষককে ১০টি কম্বাইন্ড, ৮টি পাওয়ার প্রেশার এবং ৬৭টি রিপার মেশিন দিয়েছি। এগুলো ব্যবহার করলে শ্রমিক সংকট কিছুটা কমবে। তবে যদি আরো তথ্য প্রযুক্তি উন্নত হয় তা হলে হাওরে কৃষকের শ্রমিকের সমস্যা সমাধান হবে বলে তিনি আশা করেন।   

চলতি বছর উপজেলার প্রায় ৫০টি ছোট-বড় হাওরে ৩৫ হাজার ৬৫০ হেক্টর বোরো জমিতে ধান চষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ২ লাখ ১৩ হাজার ৭৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করেছে কৃষি অফিস।