• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০১৯, ০৮:৩৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৫, ২০১৯, ০৮:৩৩ এএম

চুয়াডাঙ্গায় এক বছরে তালাক ৩১১৭টি!

চুয়াডাঙ্গায় এক বছরে তালাক ৩১১৭টি!

চুয়াডাঙ্গায় আশঙ্কাজনক হারে দাম্পত্য বিচ্ছেদের সংখ্যা বেড়েছে। এক বছরে বিয়ের সংখ্যা যেখানে ৪ হাজার ৭শ ৮৩টি, সেখানে বিচ্ছেদের সংখ্যা ৩ হাজার ১শ ১৭টি। দাম্পত্য বিচ্ছেদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কি? সুস্পষ্ট জবাব না মিললেও অনেকের অভিমত সেলফোন ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করা অধিকাংশেরই দাম্পত্য শেষ পর্যন্ত টিকছে না।

তাড়াছা পুরুষের বেকারত্ব সমস্যাও বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কোন কোন ক্ষেত্রে। তবে, চুয়াডাঙ্গায় বেশ কয়েকজন ঘটকের দাবি, ঘটকালীর মাধ্যমে বা পারিবারিকভাবে বিয়ে না হওয়ার কারণেই বাড়ছে বিচ্ছেদের ঘটনা।

কয়েকজন কাজী সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা বিয়ে এবং বিচ্ছেদ নিয়ে কোন মন্তব্যই করতে চাননি। বলছেন, আমরা এখন বাল্যবিয়ে পড়াই না। বাল্যবিয়ের কারণে এক সময় তালাকের সংখ্যা বেশি দেখা যেতো। এখন কেন বিচ্ছেদ তা খতিয়ে দেখা দরকার।

চুয়াডাঙ্গা জেলা রেজিস্টার অফিস সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলারয় ২০১৮ সালে বিয়ে হয়েছে মোট ৪ হাজার ৭শ ৮৩টি। তালাক তথা বিচ্ছেদ হয়েছে ৩ হাজার ১শ ১৭টি। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বিয়ে ১ হাজার ৭শ ৭০টি। বিচ্ছেদ ১ হাজার ৭শ ১৬টি। স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক ৬শ ৭টি, স্ত্রী কর্তৃক দাম্পত্য বিচ্ছেদ তথা স্বামী তালাক দেয়া হয়েছে ৮৯২টি। উভয়পক্ষের সম্মতিতে দাম্পত্য বিচ্ছেদ হয়েছে ৭শ ১৭টি।

আলমডাঙ্গা উপজেলায় বিয়ে হয়েছে ১ হাজার ৭শ ৬৬টি। বিচ্ছেদ হয়েছে ৩শ ৪টি। স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাকের সংখ্যা ৪২টি হলেও স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাকের সংখ্যা ৩শ ৮২টি। উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিচ্ছেদ হয়েছে ৩শ ৪ দম্পতি।
দামুড়হুদা উপজেলায় মোট বিয়ে ৯শ ৪৯টি। স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক হয়েছে ৩০টি, স্ত্রী ১শ ৭৯ জন স্বামীকে তালাক দিয়েছে। উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিচ্ছেদ হয়েছে ১শ ৫০টি।

জীবননগর উপজেলায় এক বছরে মোট বিয়ে ৫শ ৯৮টি। স্বামী কর্তৃক তালাক ৪৭টি, স্ত্রী তালাক দিয়েছে ১শ ২৬টি। উভয়পক্ষের সম্মতিতে দাম্পত্য বিচ্ছেদ হয়েছে ১শ ৪৭। এ সংখ্যাকে আশঙ্কাজনক বলে মন্তব্য সচেতন মহলের।

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার কলাবাড়ি রামনগরের ঘটক ইউনুচ আলী জানান, ঘটকালী শুরু করে শতাধিক বিয়ে দিয়েছি। দিন দিন ঘটকালীর মাধ্যমে বিয়ের সংখ্যা কমতে কমতে এখন শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে। এখন মাসে দু একটি বিয়েও আমাদের মাধ্যমে হয় না। অথচ কাজী বসে নেই। বিয়ে আর তালাকে কাজীর বাণিজ্য জমজমাট। প্রতি হাজার দেনমোহরে সাড়ে ১২ টাকা করে পান কাজী। তবে, দেনমোহর ৪ লাখ টাকা হলে কাজী পান ৫ হাজার। ৪ লাখের উপরে দেনমোহর হলে তখন লাখে একশ টাকা করে বাড়তে থাকে।

কেএসটি