মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে ফুড ফ্লেভার আমদানির আড়ালে শাড়ি, থ্রিপিস ও কেমিকেল আনার অপরাধে একটি ট্রাকসহ মালামাল জব্দ করেছে বেনাপোল কাস্টম কর্তৃপক্ষ। এ সময় পণ্য বোঝাই ওই ট্রাকের কাগজপত্রও জব্দ করা হয়।
বেনাপোল বন্দর থেকে জব্দকৃত পণ্য চালানটি বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বেনাপোল কাস্টম হাউসে পুনঃপরীক্ষা হয়েছে। এ পণ্যের আমদানিকারক ঢাকার রেড গ্রিন ইন্টারন্যাশনাল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি গত ২ এপ্রিল পণ্যটি আমদানির জন্য একটি এলসি খোলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ চালানে পণ্যের প্যাকিং লিস্টে আমদানি করা হয়েছে ২৫ কার্টুনে মাত্র ৫০০ কেজি ফুড ফ্লেভার। কিন্তু চালানটি জব্দ করার পর ওই ট্রাক থেকে ২০০ কেজি কেমিকেলসহ বিপুল পরিমাণ শাড়ি, থ্রিপিস পাওয়া যায়। বেনাপোল কাস্টম হাউসের ইনভেস্টিগেশন রিসার্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল জব্দকৃত মালামাল পরীক্ষা করেছেন। বুধবার তার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। রিপোর্টে পণ্য চালানের মালামাল ঘোষণার আড়ালে এসব পণ্য পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়। এতে করে সরকারের কয়েক লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হচ্ছিল।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, গোপন সূত্রে জানা যায় একজন আমদানিকারক ভারত থেকে ঘোষণার আড়ালে একটি পণ্য চালান বেনাপোল বন্দরে নিয়ে আসছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান বন্দরের শেড এলাকা থেকে পণ্য বোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান (ট্রাক) জব্দ করেন। পরে ট্রাকটি কাস্টম হাউসে নিয়ে আসা হয়। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে মালামাল পরীক্ষা করা হলে ঘোষিত পণ্য ছাড়াও উল্লেখিত পণ্য পাওয়া যায়। পণ্য চালানটির সিএন্ডএফ এজেন্ট ছিলেন মেসার্স আহাদ এন্টার প্রাইজ।
এ ব্যাপারে সিএন্ডএফ এজেন্ট মালিক আব্দুল আহাদ জানান, ওই গাড়িতে তার আমদানিকারকের ৫০০ কেজি ফুড ফ্লেভার ছিল। অন্য সব মালামালের কোনো তথ্য তাদের জানা নেই। এ বিষয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত টিমের প্রধান করা হয়েছে বেনাপোল কাস্টম হাউসের ইনভেস্টিগেশন রিসার্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেনকে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসসি/