• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০১৯, ১২:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৩০, ২০১৯, ১২:৫১ পিএম

তিস্তার পেটে যাচ্ছে ফসল, দিশেহারা কৃষক 

তিস্তার পেটে যাচ্ছে ফসল, দিশেহারা কৃষক 

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।

তিস্তার বুকজুড়ে এখন ধু-ধু বালুচর। পলি জমে তিস্তার মূল নদী একাধিক শাখায় পরিণত হয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় ওইসব শাখা নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। স্রোতে উজানের ভাঙনে তিস্তার বালু চরের সবুজের সমারোহ ও বসতবাড়ি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। 

থামেনি তিস্তার ভাঙন। অসময়ে তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে চলতি মৌসুমের আধাপাকা ইরি-বোরো ধান ও উঠতি ফসলসহ বসতবাড়ি বিলীন হচ্ছে নদীগর্ভে। টানা ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের পরিবারগুলো।

ভাঙনের তৃতীয় দফায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে শতাধিক একর ফসলি জমি ও শতাধিক বসত বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে হাজারও একর ফসলি জমি ও বসতবাড়ি।

বর্তমানে তিস্তার চরাঞ্চলে এখন ইরি বোরো ধান, বেগুন, পিঁয়াজ, মরিচ, ভুট্টা, কুমড়াসহ আধাপাকা ও উঠতি ফসলের সমারোহ। কিন্তু সর্বনাশা তিস্তা সেসব ফসল ঘরে তুলতে দিচ্ছে না।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের বোচাগাড়ি গ্রামের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, তিস্তার ভাঙনে চরাঞ্চলবাসী দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ সময় নদী ভাঙার কথা নয়। অথচ গত তিন মাস থেকে দফায় দফায় নদী ভাঙন চলছে।

যার কারণে কাপাসিয়া ইউনিয়নের প্রায় হাজার বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। চরের মানুষ তরিতরকারির আবাদ করে ৬ মাস সংসার চালায়। কিন্তু এ বছর নদী ভাঙন অব্যাহত থাকায় কৃষকরা মাথায় হাত দিয়ে বসেছে।

কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, ড্রেজিং এবং খনন করা ছাড়া নদী ভাঙন রোধ করা কোনো ক্রমে সম্ভব নয়। কারণ দীর্ঘদিন ধরে পলি জমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। নদী ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, নদী ভাঙন রোধ একটি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা। তবে নদী সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।


কেএসটি