• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৮, ২০১৯, ০৭:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৯, ২০১৯, ০১:৪৮ এএম

ইউনিফর্মের আড়ালে ইয়াবা চালান, বহিষ্কৃত পুলিশ সদস্য আটক

ইউনিফর্মের আড়ালে ইয়াবা চালান,  বহিষ্কৃত পুলিশ সদস্য আটক
র‌্যাবের হাতে আটক পুলিশ বিভাগের বহিষ্কৃত কনস্টেবল মাহফুজুর রহমান- ছবি : জাগরণ

ইউনিফর্মের আড়ালে কক্সবাজার থেকে রাজধানীতে ইয়াবাসহ মাদক চালান আনা-নেয়া করতো পুলিশ বিভাগের বহিষ্কৃত কনস্টেবল মাহফুজুর রহমান। প্রতি মাসে ২/৩ বার করে কক্সবাজার গিয়ে বড় বড় মাদকের চালান নিয়ে আসতো এই মাহফুজ। মাদক ব্যবসার কারণে তিনি পুলিশের চাকরি থেকে চ্যুত হন। 

বুধবার (৮ মে) দুপুরে র‌্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মাহফুজ খুলনা মহানগর পুলিশে কর্মরত অবস্থায় গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে তাকে জেলে পাঠানো হয় এবং চাকরিচ্যুত করা হয়।

পরে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে মাদক ব্যবসায়ে জড়িয়ে পড়েন মাহফুজুর রহমান। 

ফারুকী আরও জানান, মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে রাজধানীর আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে দেশ ট্রাভেলসের একটি বাসে অভিযান চালিয়ে মাহফুজুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ১০ হাজার একশ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। 

র‌্যাব জানায়, দেশ ট্রাভেলসে অভিযানের সময় পুলিশের ইউনিফর্মে এএসআই র‌্যাংক ব্যাজ পরা এক যাত্রীকে বাসের বি-২ সিটে বসে থাকতে দেখে তার চাকরিস্থল ও আইডি কার্ড দেখতে চাওয়া হয়। তখন ওই যাত্রী জানান, তিনি চট্টগ্রামে সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলেন, তার পোস্টিং পুলিশ সদর দফতরে। পরে তার গলায় থাকা পরিচয়পত্র দেখে জানা যায়, তিনি আসলে এএসআই নন, একজন কনস্টেবল। তার পরিচয়পত্রের সঙ্গে জন্ম তারিখ, পুলিশের বিপি নাম্বার ও পরিহিত ইউনিফর্মের মিল না থাকায় তাকে চ্যালেঞ্জ করে মতিঝিল থানা পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে তল্লাশি করা হয়। তখন তার ব্যাগ থেকে ১০ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা ও নগদ ৩১ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। 

জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাব জানতে পারে মাহফুজুর রহমান নামের এই ব্যক্তি একজন বহিষ্কৃত পুলিশ সদস্য। তিনি এএসআই-এর ভুয়া র‌্যাংক ব্যাজ পদধারী ইউনিফর্ম পরে প্রতি মাসে ২/৩ বার করে কক্সবাজার গিয়ে বড় বড় মাদকের চালান নিয়ে আসেন ঢাকায়। 

মাহফুজুরের বাড়ি খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার পশ্চিম সোনাডাঙ্গায়। তার বিরুদ্ধে খুলনা মহানগর পুলিশের সোনাডাঙ্গা থানায় ২০১৬ সালে একটি মামলা হয়। যে মামলার কারণে তাকে পুলিশ বিভাগ থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরিচ্যুত হওয়ার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরিচ্ছদ ব্যবহার করে অপরাধমূলক কার্যক্রম করা এবং বাহিনীর মর্যাদা বা সুনাম ক্ষুন্নের চেষ্টা করার অপরাধে গ্রেফতার ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে র‌্যাব। 

এইচএম/এসএমএম