সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের দুদলিতে বিএসএফের নির্যাতনে কবিরুল ইসলাম নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, শুক্রবার (১০ মে) মধ্যরাতে নির্যাতনের পর তাকে সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্তের ছয়ঘরিয়া এলাকায় রেখে যাওয়া হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তবে বিজিবি বলছে, এ ঘটনায় বিএসএফ যে দায়ী, এমন কোনো তথ্য এখনো তারা পায়নি।
নিহত কবিরুল ইসলাম (৩২) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের আজিজ মোল্লার ছেলে।
কবিরুলের মামা ফারুক হোসেন জানান, তার ভাগনে বাড়ির কাউকে কিছু না বলে শুক্রবার রাতে কুশখালী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের দুদলি এলাকায় যায়। সেখান থেকে ভারতীয় চা-পাতাসহ অন্য চোরাচালান সামগ্রী নিয়ে আসার সময় বিএসএফ তাকে আটক করে। পরে শারীরিক নির্যাতন করে তার মুখে পেট্রোল ঢেলে দেয়। এ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে যাওয়া হয়। পরে তার আর্তচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। রাত ১২টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুশখালী ইউপির চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল জানান, কবিরুল চা পাতা আনতে ভারতে গিয়েছিল। বিএসএফ তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে পরে মুখে পেট্রোল ঢেলে দেয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তার দেহে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মুখে পেট্রোল ঢেলে দেওয়ার বিষয়টি মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়া নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার জানান, ‘ঘটনাটি আমিও শুনেছি। তবে বিএসএফ যে তাকে মেরে ফেলেছে, এমন কোনো তথ্য আমরা এখনো পাইনি। বিএসএফ কোনো বাংলাদেশিকে ধরেনি বলে আমাদের জানিয়েছে।’