• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৩, ২০১৯, ০৬:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৩, ২০১৯, ০৬:২৪ পিএম

তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হবিগঞ্জের ২ যুবক

তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হবিগঞ্জের ২ যুবক

ভাগ্যর চাকা ঘুরাতে গিয়ে হবিগঞ্জের দুই যুবকের ভাগ্যে কি ঘটেছে জানতে চায় তাদের পরিবার। তিউনিসিয়ায় নৌকা ডুবিতে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লুকড়া গ্রামের ২ যুবকের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না তাদের স্বজনরা। নিখোজদের বাড়িতে চলছে কান্নার রোল। নিখোঁজ দুই যুবকের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জানতে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে খোঁজ নিচ্ছেন।

স্থানীয় ও নিখোজদের পরিবার  সূত্রে প্রকাশ, লোকড়া গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম (২২), আব্দুল মোক্তাদির (২২),  মামুন মিয়া (২২), এবং নূরুল আমীন (২৮) ইতালী যাবার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে ৭/৮ মাস আগে স্থানীয় দালাল মোজাক্কিরের হাত ধরে বের হয় হয়। মোজাক্কিরের বাড়ি বানিয়াচঙ্গ উপজেলার হিয়ালা গ্রামে।

৯ মে রাতে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশে আব্দুল কাইয়ুম ও আব্দুল মোক্তাদির নৌকায় ওঠেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন একই গ্রামের মামুন মিয়া (২২) এবং নূরুল আমীন (২৮)।  দু’টি নৌকায় ভাগ করে যাত্রীদের নেয়া হচ্ছিল। প্রথম নৌকায় ওঠেন নূরুল আমীন। ওই নৌকাটি না ডুবায় তিনি ইতালিতে পৌঁছেছেন। পরবর্তী নৌকায় বাকি তিনজন গেলে তিউনিসিয়া উপকূলে এটি ডুবে যায়। এরপর সাঁতরাতে থাকেন তিনজন। মামুন মিয়া উদ্ধার হলেও নিখোঁজ রয়েছেন কাইয়ুম এবং মোক্তাদির।

নিখোজ মোক্তাদিরের চাচা আব্দুল খালেক জানান, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের (পিআইও) মাষ্টাররোলে এমএলএস এস এর চাকুরী করতো মোক্তাদির। ইটালীতে মোটা অংকের বেতন পাবে এমন লোভ দেখিয়ে দালাল মোজাক্কির ও রহমত বিএ পাশ ভাতিজা মোক্তাদিরকে ফাঁদে ফেলে। বিভিন্ন দেশ ঘুরিয়ে তাকে লিবিয়ায় বন্দি করে রাখে। সেখান থেকে ভাতিজা মোবাইলে কথামত দালালদের প্রায় ৯ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে।

লোকড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুন নূর জাহির  জানান, উদ্ধার হওয়া মামুন মিয়া তার ভাগ্নে। মোবাইলে মামুন মিয়া জানিয়েছেন- নৌকাডুবির পর মোক্তাদিরের সঙ্গে তিনি হাত ধরে সাঁতার কেটেছেন ৭/৮ ঘন্টা। একপর্যায়ে  হাত থেকে ছুটে গেলে আর মোক্তাদিরকে দেখতে পাননি।

নিখোজ আব্দুল কাইয়ুমের বাবা হাজী আলাউদ্দিন জানান, বুধবার (৮ মে) তার ছেলে বাড়িতে ফোন করে ইতালি যাওয়ার বিষয়টি জানান। নৌকা ডুবির পর থেকে তাদের সন্তানের খবর পাচ্ছেন না। দালাল মোজাক্কির ও রহমত আলী একেক সময় একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছেন যা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী  অফিসার সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম ও স্থানীয় লুকড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন ফরহাদ নিখোজদের বাড়িতে যান ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কিছু সময় কথা বলেন।

জানতে চাওয়া হলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী  অফিসার সাখাওয়াত হোসেন রুবেল বলেন নিখোজ দুই যুবকের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করেছি। তথ্যগুলো বৈদেশিক মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রনালয় বিষয়টি খোঁজ খবর নেবে। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী কাজ সম্পন্ন করা হবে।

এসজেড