• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০১৯, ০৮:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৫, ২০১৯, ০৮:৫৩ পিএম

ঈদে ঢাকা-বরিশালসহ দূরপাল্লার রুটে ৫২ যাত্রীবাহী নৌযান

ঈদে ঢাকা-বরিশালসহ দূরপাল্লার রুটে ৫২ যাত্রীবাহী নৌযান

রাজধানী ঢাকার সাথে বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলে অন্যতম আরামদায়ক যোগাযোগব্যবস্থা হচ্ছে নৌপথ। তাই ঈদ এলেই নৌপথে বেড়ে যায় যাত্রীদের চাপ। যাত্রীর চাপ সামাল দিতে বিশেষ সার্ভিস দিয়ে থাকে সরকারি-বেসরকারি নৌযান কর্তৃপক্ষ। বিগত বছরগুলোর মতো আসন্ন ঈদুল ফিতরেও নৌপথে বিশেষ সার্ভিস দেবে তারা।

তবে বিশেষ সার্ভিস শুরুর সময় এখনো নির্ধারিত না হলেও বরিশাল-ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের দূরপাল্লার রুটে কতগুলো যাত্রীবাহী নৌযান চলবে, সে বিষয়ে সম্ভাবতা যাচাই করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঈদের আগে ও পরে ৫২টি যাত্রীবাহী নৌযানে দেওয়া হবে ঈদ সার্ভিস। এর মধ্যে শুধু বরিশাল-ঢাকা নৌরুটেই সরাসরি বিশেষ সার্ভিস দেবে বিলাসবহুল ২৩টি বেসরকারি লঞ্চ। এছাড়া এই রুটে বিশেষ সার্ভিসে থাকবে বিআইডব্লিউটিসির আরো ৫টি স্টিমার।

বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশের নদীপথে সব থেকে বড় নৌপথ হচ্ছে বরিশাল-ঢাকা। যে কারণে এই রুটে দিন দিন দানবাকৃতির বিলাসবহুল বেসরকারি লঞ্চের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সর্বশেষ গত মাসেও বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে যাত্রীসেবায় যুক্ত হয় আরো একটি বিলাসবহুল নৌযান এমভি মানামী। এ নিয়ে বর্তমানে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে নিয়মিত যাত্রীসেবায় যুক্ত রয়েছে ২১টি লঞ্চ।

বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) কবির হোসেন জানান, বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে বর্তমানে দিবা সার্ভিসসহ মোট ২১টি বেসরকারি লঞ্চ চলাচল করছে। যার মধ্যে রোটেশন অনুযায়ী প্রতিদিন ঢাকা ও বরিশাল থেকে ৮-১০টি করে লঞ্চে যাত্রীসেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে ঈদ মৌসুমে রোটেশন পদ্ধতি থাকে না। লঞ্চ মালিকরা সকল লঞ্চেই প্রতিদিন ডাবল ট্রিপ দিয়ে থাকেন, যাকে বলা হয় ঈদ বিশেষ সার্ভিস।

তিনি বলেন, এবারের ঈদে সরাসরি বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে ২৩টি বেসরকারি লঞ্চ চলাচল করবে। আগামী ১৬ মে দিবা সার্ভিসের ক্যাটামেরান অ্যাডভেঞ্চার-৫ চলাচল শুরু করবে। এই জাহাজটি গত ঈদে উদ্বোধন করা হয়েছিল। বেসরকারি যাত্রীবাহী নৌযান মালিকদের সংগঠন জাপ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ‘এবার ঈদে যাত্রীসেবায় আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। কেননা এবার লঞ্চের সংখ্যা আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশি। তবে কবে থেকে বিশেষ সার্ভিস শুরু হবে সে বিষয়টি এখনো ঠিক হয়নি। আগামী ১৮ মে ঢাকায় জাপ-এর সাধারণ সভা হবে। ওই সভাতেই ঈদ সার্ভিসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’

সাইদুর রহমান রিন্টু আরো বলেন, লঞ্চগুলো অগ্রিম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। কোনো কোনো কোম্পানি বিশেষ স্লিপের মাধ্যমে আবার কোনো কোনো কোম্পানি সরাসরি টিকিট বিক্রি করছে। যারা স্লিপ পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি করছে, তারা আবেদনকারীদের আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় টিকিট বিক্রি শুরু করবে। এ ক্ষেত্রে যারা নিয়মিত যাত্রী তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

এনআই