• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২০, ২০১৯, ০৮:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২০, ২০১৯, ০৮:৪৯ পিএম

চট্টগ্রামে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

বন্দরের চেইন অব কমান্ড ঠিক করতে হবে

বন্দরের চেইন অব কমান্ড ঠিক করতে হবে

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কাজে চেইন অব কমান্ডের ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। এগুলো মানতে হবে। চেইন অব কমান্ড না থাকলে কোনো কিছুতেই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সোমবার (২০ মে) চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। বন্দর ভবনের সম্মেলনকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বন্দর সিবিএর একাধিক নেতা ঢুকে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সিবিএর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আরো অনেকে এখানে বসে আছেন। তাদের এখানে বসে থাকার কথা নয়। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজন থাকলেই হয়। কাউকে খাটো করার জন্য বলছি না। শ্রমিকেরা আমাদের সম্পদ। আপনাদের দাবি-দাওয়া ও চাহিদা নিয়ে কথা বলবেন দুজন। বঙ্গবন্ধুর চেইন অব কমান্ড ঠিক ছিল বলেই স্বাধীনতা এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর চেইন অব কমান্ড আছে বলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের হার্ট বলা যায়। বন্দরের কারণেই চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী আখ্যায়িত করা হয়। অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি চট্টগ্রাম বন্দর। চট্টগ্রামসহ সমগ্র বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে চট্টগ্রাম বন্দর।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বন্দরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আপনাদের ভূমিকা রাখতে হবে। প্রত্যেকে নিজের জায়গায় কাজ করতে হবে। যদি দেখি, কর্তৃপক্ষ বন্দরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন; তখন প্রশান্তি পাই। বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আপনাদের কাজ করে যেতে হবে।’

চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়া আসনের সাংসদ শামসুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবীবুর রহমান সিরাজ, চবক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আজিজ, সদস্য (প্রকৌশল) কমোডর খন্দকার আকতার হোসেন, সচিব মো. ওমর ফারুকসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বন্দর সিবিএর সভাপতি আবুল মনসুর, সাধারণ সম্পাদক রফি উদ্দিন খান, যুগ্ম সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম ফটিকসহ অন্য শ্রমিক নেতারা।

এনআই