• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২২, ২০১৯, ০৩:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২২, ২০১৯, ০৩:৫৪ পিএম

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। বুধবার (২২ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এই রায় প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাসচালক হাবিবুর রহমান নয়ন (২৮), হেলপার খালেক ভুট্টো (২৩), আশরাফুল (২৬) ও সুপারভাইজার রেজাউল করিম জুয়েল (৩৮)। এর মধ্যে রেজাউল করিম জুয়েল পলাতক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এস এম নাসিমুল আখতার।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিশেষ পিপি নাসিমুল আক্তার নাসিম। তাকে সহায়তা করেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ।

অ্যাডভোকেট নাসিমুল আক্তার নাসিম বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এছাড়া বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে গণধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে, এ রায়ে সেগুলো অনেকটাই নিরুৎসাহিত করবে।’

তবে এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামি পক্ষের আইনজীবী শামীম চৌধুরী দয়াল বলেন, এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল কালিয়াকৈরের মৌচাকে কর্মরত এক গার্মেন্টস কর্মী গৃহবধু টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে ভোর পাঁচটার দিকে ‘বিনিময় পরিবহনের’ একটি বাসে কালিয়াকৈরের উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় বাসে যাত্রী না থাকার সুযোগে বাসটি কিছুদূর যাওয়ার পর কন্ডাক্টর বাসের জানালা-দরজা বন্ধ করে দেন। পরে গাড়ির চালক হাবিবুর রহমান নয়ন তাকে ধর্ষণ করে। পালাক্রমে বাসের কন্ডাক্টর, হেলপারও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরে বাসটি ঢাকায় না গিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ রোডের একটি ফাঁকা জায়গায় তাকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। 

পরে ভিকটিম স্বামীকে বিস্তারিত জানালে তার স্বামী তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করে। ধর্ষিতার স্বামী বখতিয়ার বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে চারজনকে আসামি করে চার্জশিট প্রদান করে এবং ছয়জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়। গ্রেফতারকৃত তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ধর্ষিতা আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দিতে ধর্ষিতা আশরাফুল নামের আরো একজনের নাম উল্লেখ করে।

এনআই