• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৪, ২০১৯, ০৪:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৪, ২০১৯, ০৪:২৬ পিএম

অপহরণের ৪ দিন পর উদ্ধার শিশু চাঁদনী

অপহরণের ৪ দিন পর উদ্ধার শিশু চাঁদনী

মোবাইলের রং নাম্বারে পরিচয়। প্রথমে বোন ডেকে কাছে টানে, তারপর মাকে মা ডেকে স্নেহের বন্ধন তৈরি করে। কিন্তু নরপিচাশ কখনো মাতৃত্ব কিংবা ভ্রাতৃত্ব বন্ধন মানে না। মনে মনে পরিকল্পনার জাল বুনতে থাকে। অবশেষে গত ১৯ মে বেড়াতে এসে রাতযাপন করে। সকাল হলে কৌশলে শিশুকন্যাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। তার পর থেকেই অপহরণকারী রুবেল হোসেনের মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মা-বাবার কাছে সন্তান চাঁদের মতো। তাই একমাত্র কন্যাসন্তানের নাম রাখা হয় চাঁদনী। ফুটফুটে চাঁদনী। বয়স তিন বছর। অপহরণের চার দিন পর পুলিশের দক্ষতায় উদ্ধার হয় শিশুটি। অপহরণকারীকেও আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ অপহরণকারী রুবেল হোসেনকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়।

অপহৃত শিশু চাঁদনী চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬নং পূর্ব বড়কুল ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়কুল গ্রামের কবিরাজ বাড়ির ফোরকান হোসেনের একমাত্র কন্যাসন্তান।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আলমগীর হোসেনের প্রচেষ্টা ও মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) লক্ষ্মীপুরের রামগতির কমলনগর থানার কালকিনি ইউনিয়নের মতিরহাট আকবর মৃধার বাড়ি থেকে শিশু চাঁদনীকে উদ্ধার করা হয়। রাতেই কমলনগর থানা পুলিশ অপহরণকারী রুবেল হোসেনকে (৩০) আটক করে হাজীগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

থানায় অপহরণ মামলার আরজিতে বলা হয়, অপহরণকারী রুবেল হোসেনের সাথে শিশুর দাদি ও ফুফুর মোবাইলে পরিচয় হয়। গত ২০ মে রুবেল হোসেন বেড়াতে এসে সুকৌশলে বাড়ি থেকে চাঁদনীকে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়।

শিশুটির বাবা ফোরকান হোসেন বলেন, ‘সন্তানকে ফিরে পেয়ে আমি খুব খুশি। ওসি আলমগীর হোসেনের আন্তরিকতা ও এসএম মিরাজ মুন্সীর প্রচেষ্টায় আমার মেয়েকে দ্রুত পেয়েছি। তাদের কাছে আমি ঋণী। পাশাপাশি অপহরণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

এনআই