• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৫, ২০১৯, ১২:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৫, ২০১৯, ১২:৫৭ পিএম

রূপগঞ্জের জামদানিপল্লী 

ঈদে ২০ কোটি টাকার জামদানির চাহিদা 

ঈদে ২০ কোটি টাকার জামদানির চাহিদা 

ঈদে বাঙালি রমণীর জামদানি শাড়ি থাকবে না এটা কি হয়। জামদানি ছাড়া যেন ঈদটাই ফিঁকে। তাই বাঙালি নারীদের জামদানি চা-ই-চাই। ঈদও খুব বেশি দূরে নয়। জামদানির চাহিদার কারণে কারিগরেরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। কাকডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে অভিজাত এ বস্ত্র বুনন। নাওয়া-খাওয়া ভুলে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা তাঁতীদের। ডেমরা ও নোয়াপাড়ার হাটে থাকে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ঈদকে ঘিরে এবার প্রায় ২০ কোটি টাকার জামদানির চাহিদা রয়েছে বলে স্থানীয় মহাজনরা দাবি করেছেন। 

জামদানি পল্লী ঘুরে দেখা গেছে, চারদিকে খুট-খাট শব্দে মুখরিত। ঈদকে ঘিরে নোয়াপাড়ার জামদানিপল্লী এখন কর্মমুখর। ঈদকে ঘিরে জামদানি তাঁতীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কারিগরেরা কে কত শাড়ি তুলতে পারেন তা-নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা। কথা বলার ফুসরতটুকু নেই তাদের। এবার জামদানি শাড়ির নকশায় অনেক নতুনত্ব আনা হয়েছে। এবার ঈদে দেশের বাজারের ভারত, পাকিস্তান, মিশর, সৌদি আরব ও ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশে জামদানি শাড়ি রপ্তানি হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁয়ের লোকশিল্প জাদুঘরের ভেতরে, রাজধানীর শাহবাগ, ভারতের কলকাতা শহর, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোর জামদানি শাড়ির মেলা বসেছে। এছাড়া নোয়াপাড়া জামদানি প্রকল্পের ভেতরে প্রতিদিন ও ডেমরা বাওয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে শুক্রবার ভোরে বসা হাটে রয়েছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ঈদকে ঘিরে এবার ২০ কোটি টাকার জামদানি বিক্রির আশা করছেন মহাজন ও ব্যবসায়ীরা। 

কথা হয় তাঁতী নুরুল হক মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, অর্ডার অনেক এবার। খাওন-ঘুমানের সময় পাই না। কথা কইতে পারি না। গতবারের চাইতে এইবার চাহিদা অনেক বেশি। 

মহাজন আজগর হোসেন বলেন, এবার চাহিদা আছে অনেক। আশা করা যাচ্ছে এবার ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার জামদানি বিক্রি হবে। কারণ এখন যাদের সাধ্য আছে, এমন অনেক নারীই জামদানি পছন্দ করেন। 

কেএসটি