• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৫, ২০১৯, ০৯:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৫, ২০১৯, ০৯:৫১ পিএম

উদ্বোধনের ৭ মাসেও চালু হয়নি বার্ন ইনস্টিটিউট

উদ্বোধনের ৭ মাসেও চালু হয়নি বার্ন ইনস্টিটিউট

উদ্বোধনের ৭ মাস অতিবাহিত হলেও চালু হয়নি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাষ্টিক সার্জারী ইনষ্টিটিউট। গত বছরের ২৪ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয় এ ইনস্টিটিউটটি। প্রধানমন্ত্রী নিজেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই বার্ন ইনস্টিটিউট। 

সরকারের গত মেয়াদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম একাধিকবার জানিয়েছিলেন, উদ্বোধনের আগেই সেপ্টেম্বর থেকে চালু হবে এই ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম। এরপর সেপ্টেম্বর পেরিয়ে অক্টোবরে উদ্বোধন হয়। তারপরও পেরিয়ে গেছে আরও ৭ মাস। কিন্তু এখনও কার্যক্রম চালু করতে পারেনি এই বিশেষায়িত হাসপাতালটি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, যন্ত্রাংশ স্থাপন, বৈদ্যুতিক সংযোগ ও জনবল নিয়োগ বিষয়ক জটিলতার কারণেই এখনও কার্যক্রম শুরু হয়নি নবনির্মিত বার্ন ইনস্টিটিউটের। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব জটিলতা এখন নিরসনের দিকে। আগামী মাসের মধ্যে হয়তো এই হাসপাতালের কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হবে।

ইনস্টিটিউটের সম্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালটি চালুর চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছু কাজ এখনও বাকি আছে, সেগুলো একটু সময় সাপেক্ষ। এই হাসপাতালের যন্ত্রপাতিগুলো বিশ্বমানের।এগুলোর প্রতিটির প্রি-শিপমেন্ট ইনস্পেকশন হচ্ছে। তবে কিছু যন্ত্রপাতি এসে পৌঁছেছে, কিছু পথে রয়েছে।

এছাড়া হাসপাতালের কার্যক্রম শুরুতে বিলম্ব হওয়ার পেছনে কারণ ছিলো বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সবে মাত্র হাসপাতালের বৈদ্যুতিক সংযোগ লেগেছে। এটা ঢাকা পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ও সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ে সম্পন্ন করা হচ্ছে।
 
জনবল নিয়োগের বিষয়ে ড. সামন্ত লাল বলেন, ভবনের কাজ শেষ হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এখন নতুন সরকার, নতুন মন্ত্রিসভা, নতুন মন্ত্রী। আমরা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ বসে জনবলের সমস্যা সমাধান করব। আশা করছি, আগামী জুন-জুলাইয়ের মধ্যে এর কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।

এই হাসপাতালের জন্য প্রায় ২২শ জনবল দরকার হবে জানিয়ে এই ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে যে আদেশ আসবে, যেভাবে জনবল ঠিক করে দেওয়া হবে, সেভাবেই নিয়োগ হবে।

প্রসঙ্গত, প্রায় দুই একর জমিতে ১৮ তলা ভবনে এই হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। মাটির নিচে রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিন তলা বেজমেন্ট, যেখানে রেডিওলজিসহ আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিভাগ রয়েছে। দেশে এই প্রথমবারের মতো কোনো সরকারি হাসপাতালে একাধিক হেলিপ্যাড থাকা এই ভবনেকে ভাগ করা হয়েছ তিনটি ব্লকে। একদিকে থাকবে বার্ন, অন্যদিকে প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট। তৃতীয় ব্লকটিতে থাকবে একাডেমিক ভবন। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সন্নিবেশিত এই ইনস্টিটিউটে থাকছে একশটি কেবিন। হাইডেফিসিয়েন্সি ইউনিটে থাকছে ৬০ বেড, ১২টি অস্ত্রোপচার থিয়েটার এবং অত্যাধুনিক পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড। বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির অত্যাধুনিক চিকিৎসা এখানে দেয়া হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুরাতন ভবনের সঙ্গে একটি ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে সংযোগ স্থাপন করা হবে নতুন এই ভবনের। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে এই ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরে গত ২৪ অক্টোবর এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এইচ এম/বিএস