• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৭, ২০১৯, ০৫:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৭, ২০১৯, ০৫:৪১ পিএম

৪ দিনের নবজাতককে ফেলে পালালেন মা

৪ দিনের নবজাতককে ফেলে পালালেন মা

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে ৪ দিনের নবজাতক শিশুসন্তানকে ফেলে রেখে পালিয়েছেন তার মা। বর্তমানে শিশুটি নবজাতক ইউনিটেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

তবে শিশুটিকে লালন-পালনের জন্য বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিভাগীয় ছোটমণি নিবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সমাজসেবা কর্মকর্তারা। চিকিৎসা শেষে তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে।

শেবাচিম হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটের ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স মাহফুজা আক্তার জানান, ২১ মে মানসুরা নামের এক নারী হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। ওই দিনই তিনি সিজারিয়ানের মাধ্যমে একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে নবজাতক ইউনিটে প্রেরণ করা হয়।

মাহফুজা আক্তার বলেন, শিশুকে নবজাতক ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হলে তার মা মানসুরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। মা ও শিশু দুজন দুই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে তখন বিষয়টি টের পাওয়া যায়নি। তবে ২৬ মে (রোববার) নবজাতকের মায়ের খোঁজ করা হলে তার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, ‘আমাকে রোববারই বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমি এ বিষয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। তারা শিশুটির মায়ের খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু পাননি। তাই শিশুটিকে আগৈলঝাড়ায় ছোটমণি নিবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

এদিকে হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীরা জানান, নবজাতক কন্যাকে রেখে মায়ের পালানোর খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক মানুষ ভিড় জমায় নবজাতক ইউনিটে। যাদের মধ্যে অনেকেই নবজাতককে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু সমাজসেবা কর্মকর্তারা বিষয়টিতে সম্মতি দেননি।

শেবাচিম হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা সমাজসেবা কর্মকর্তা দিলরুবা আক্তার রইচি বলেন, মানসুরা ভর্তির সময় তার গ্রামের বাড়ি বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জে লিখিয়েছেন। ওই ঠিকানায় লোক পাঠিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। যতটুকু বোঝা যাচ্ছে, ওই ঠিকানা সঠিক নয়। ভর্তির সময় একটি মোবাইল নম্বরও রাখা হয়েছে, যা বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তা ছাড়া ভর্তির রেজিস্টারে স্বামীর নাম উল্লেখ করা নেই। মানসুরার পিতার নামের স্থানে আহম্মেদ আলী লেখা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে শিশুটি পুরোপুরিভাবে সুস্থ আছে। তাই আমরা শিশুটিকে আগৈলঝাড়া বিভাগীয় ছোটমণি নিবাসে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথাও হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) বিকালে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ওকে ছোটমণি নিবাসে পাঠানো হবে।’

এনআই