• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৩০, ২০১৯, ০৯:১৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৩০, ২০১৯, ০৯:১৬ পিএম

রৌমারীতে বিএসএফের গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

রৌমারীতে বিএসএফের গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী মাইদুল ইসলামের (২৫) লাশ নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউয়ারচর গ্রাম এলাকায় জিঞ্জিরাম নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে বুধবার (২৯ মে) রাত ৩টার দিকে রৌমারী উপজেলার পূর্ব কানিয়ারচর সীমান্তের ১০৭৮ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের নিকট বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে গরু আনতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী, পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের চোরাকারবারিদের সহায়তায় বাংলাদেশের ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল পূর্ব কানিয়ারচর সীমান্তের ১০৭৮ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলারের নিকট গরু আনতে যায়। এ সময় ভারতের দিয়ারা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় ৩ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মাইদুল ইসলামকে অন্য সঙ্গীরা কাঁধে করে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের বাড়িতে নিয়ে গেলে তিনি তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ পরিস্থিতিতে আইনি জটিলতা এড়াতে নিহত মাইদুলের লাশ তার সঙ্গীরা জিঞ্জিরাম নদীতে পানির নিচে লুকিয়ে রাখেন এবং বৃহস্পতিবার ভোররাতে তার লাশ পানি থেকে উঠিয়ে সীমান্ত এলাকায় ফেলে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিষয়টি এলাকাবাসী টের পেলে গরু ব্যবসায়ীর লাশ আর নদী থেকে ওঠাতে পারেননি তার সঙ্গী ব্যবসায়ীরা।

পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জাল ও হাজারি বড়শি দিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় মাইদুলের লাশ খুঁজতে থাকে পুলিশ ও বিজিবি। বিকেলে হাজারি বড়শিতে লাশ আটকে গেলে নদী থেকে তা উদ্ধার করে পুলিশ।

বিএসএফের গুলিতে নিহত গরু ব্যবসায়ী মাইদুল ইসলাম দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের দাঁতভাঙ্গা গ্রামের সাইজুদ্দিনের ছেলে।

এ ব্যাপারে ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দাঁতভাঙ্গা বিওপি কমান্ডার আমিনুল ইসলাম ঘটনার সতত্য স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের নিকট তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নদী থেকে বিএসএফের গুলিতে নিহত গরু ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে।

এনআই