• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১, ২০১৯, ০৭:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১, ২০১৯, ০৭:৩৭ পিএম

হাসপাতালে গৃহবধূর লাশ রেখে পালাল শ্বশুরবাড়ির লোকজন

হাসপাতালে গৃহবধূর লাশ রেখে পালাল শ্বশুরবাড়ির লোকজন

ময়মনসিংহের ফুলপুরের বাতিকুড়া গ্রামে শুক্রবার (৩১ মে) রাতে খাদিজা খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ এ ঘটনায় শাশুড়ি আনোয়ারা খাতুনকে আটক করেছে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে শ্বশুরবাড়ির বাকি সদস্যরা।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার বাতিকুড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের সাথে ৮ মাস আগে একই উপজেলার আমুয়াকান্দা গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে খাদিজা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। 
শুক্রবার রাতে স্বামী খলিলুর রহমান ও বাড়ির লোকজন খাদিজার সাথে ঝগড়া করে। এ সময় স্বামী ও তার লোকজন খাদিজার ওপর নির্যাতন করলে খাদিজা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে রাতেই খাদিজাকে স্বামীর পরিবারের লোকজন ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন হাসপাতালে খাদিজার মরদেহ ফেলে রেখে স্বামী ও তার বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে ফুলপুর থানার পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত খাদিজার বাবা আব্দুল খালেক জানান, পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তার মেয়ের ওপর কারণে-অকারণে অত্যাচার চলে আসছে। শুক্রবার রাতে খাদিজার স্বামী, শাশুড়ি, দেবর ও ননদ মিলে তার মেয়েকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। তিনি মেয়ে হত্যার বিচার চান।

ফুলপুর থানার এসআই সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাদিজাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বাড়ির লোকজন পলাতক। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর শাশুড়ি আনোয়ারা খাতুনকে আটক করেছে।

এনআই