• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৩, ২০১৯, ০৫:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৩, ২০১৯, ০৫:০৬ পিএম

ঈদের টানা ছুটি

জাহাজ ও কন্টেইনার জটের কবলে চট্টগ্রাম বন্দর

জাহাজ ও কন্টেইনার জটের কবলে চট্টগ্রাম বন্দর

ঘূর্ণিঝড় ফনীর কারণে টানা ৩ দিন চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কাজ বন্ধ থাকার রেশ এখনো রয়ে গেছে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ছুটির ফাঁদ। এতে করে চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে আবারো নেমে এসেছে স্থবিরতা। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে তার প্রভাব। একটি জাহাজ বার্থিং করতে আগে যেখানে গড়ে ৩ দিন সময় লাগত, এখন লাগছে ৮-৯ দিনের মতো। এতে করে চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ৩১ মে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে সরকারি ছুটি। মাঝখানে ৩ জুন সোমবার খোলা থাকলেও কার্যক্ষেত্রে অনেকেই এই দিনটি ছুটি নিয়ে চলে গেছেন গন্তব্যে। ফলে আগামী ৯ জুনের আগ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর-সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ শাখা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বন্দরভিক্তিক আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ওপর অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের যোগসূত্র নির্ভর করে। এর একটি পক্ষ যদি অপারেশনাল কাজের সাথে যুক্ত না থাকে, তাহলে পুরো ব্যাহত হয় স্বাভাবিক কার্যক্রম। ঈদে চট্টগ্রাম বন্দর কিংবা চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস সক্রিয় থাকলেও ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে পণ্য খালাসের সুযোগ থাকে না। এছাড়া ঈদের আগে এবং পরে মহাসড়কে পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাস না হওয়ার ক্ষেত্রেও তৈরি হয় একধরনের জটিলতা।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়ারিশা এন্টাইপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সরওয়ার আলম খান বলেন, ‘ইতোমধ্যে বন্দরে জাহাজ-জট শুরু গেছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের আমদানিকৃত পণ্য আউটারে আসার পর বার্থিং পেতে সময় লেগেছে ৭ দিন।’

ক্যালিফোর্নিয়া ট্রেডার্স নামের ওই জাহাজটি আউটারে গত ২৬ মে আসার পর চট্টগ্রাম বন্দরে বার্থিং পেয়েছে ১ জুন। ৭ দিন বেশি সময় লাগার কারণে রফতানি পণ্যের কাঁচামাল ডেলিভারি পেতে অনেক সময়ক্ষেপণ হবে। ওই পণ্য রফতানি করতে বিমান ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এতে করে রফতানিকারকের প্রচুর আর্থিক ক্ষতি যেমন হবে, তেমনি বায়ার (ক্রেতা) হারানোর যথেষ্ট ঝুঁকি থেকে গেছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম এবং বন্দরের সচিব ওমর ফারুকের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউই সাড়া দেননি।

এনআই