• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৬, ২০১৯, ১০:৪৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৬, ২০১৯, ১০:৪৮ এএম

সেতুটির এক পিলার ভেঙে ধস, অপরটি নড়বড়ে

সেতুটির এক পিলার ভেঙে ধস, অপরটি নড়বড়ে

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের বয়রাঘাট এলাকায় খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ধসে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। সেতুর এক প্রান্তের পিলার ভেঙে ধসে পড়ায় ব্রিজের সাথের মাটি সরে গেছে। অপর প্রান্তের পিলারের অবস্থাও নড়বড়ে। সেতুটি যান চলাচল বন্ধ থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে পথচারীরা সেতু পারাপার হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুর নিচে খালের মাটি খনন করায় সেতুর পিলারের অংশের মাটি সরে গেছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা ট্রাকগুলো নিয়মিত সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলের কারণে সেতুটির এই বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অচিরেই সেতুটি সংস্কার করা না হলে যে কোনো মুহূর্তে সেতু ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার পাশাপাশি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

এলজিইডি উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১২ বছর আগে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্থায়নে ভাংনামারী ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদঘেঁষা বয়রাঘাট খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে নদী তীরবর্তী কয়েক শত মানুষ চলাচল করতো। কিন্তু সম্প্রতি সেতুটি দিয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় বালুবাহী ট্রাক চলাচল করায় সেতুটির কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ে।
দুই সপ্তাহ আগে সেতুটির এক প্রান্তের পিলার ধসে পড়ে সেতুর ওপররের অংশ নূয়ে পড়েছে। সরে গেছে সংযোগ সড়কের মাটি। অপরপ্রান্তের পিলারের অবস্থাও নড়বড়ে। সেতুটি যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুন নূর খোকা বলেন, ‘প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী ভারী যানবাহনগুলো বয়রাঘাটের সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করায় সেতুটি ধসে পড়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সেতু সংস্কারের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবু সালেহ মো. ওয়াহীদুল হক বলেন, ‘এক যুগ পূর্বে এডিপির অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হয়েছিলো। শুনেছি ভারী যানবাহন চলাচল করার কারণে সেতুটির বেহাল অবস্থা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ যোগাযোগ করলে আমরা সেতুটি সংস্কার করে দিবো।

কেএসটি