লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই দিন ধরে অবস্থান করেন এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা (২৫)। পরে শনিবার (৮ জুন) বিকেল ৩টার দিকে রায়পুর থানার পুলিশ সমঝোতা বৈঠকের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষিকাকে ওই বাড়ি থেকে নিয়ে আসে।

জানা গেছে, রায়পুর উপজেলার উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আব্বাস আলী ব্যাপারী বাড়ির ইসমাইল ব্যাপারীর মেয়ে স্কুলশিক্ষিকার সাথে কেরোয়া ইউনিয়নের মধ্য কেরোয়া গ্রামের কেরামত আলী মুন্সী বাড়ির নুর নবীর কলেজ পড়ুয়া ছেলে তাওহিদ সাগরের তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। একপর্যায়ে সাগর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটির সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর পর থেকে ওই শিক্ষিকা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সাগর বিভিন্নভাবে টালবাহানা করতে থাকেন।

এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা শুক্রবার (৭ জুন) বিকালে সাগরদের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন। শিক্ষিকা বিয়ের দাবিতে অনড় থাকলে প্রেমিক সাগর কৌশলে পালিয়ে যান। গ্রামবাসী বিষয়টি আপস-মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।

ওই শিক্ষিকা জানান, প্রেমিক সাগর তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করায় তিনি প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন।

এ ব্যাপারে কেরোয়া ইউপির চেয়ারম্যান শাজাহান কামাল বলেন, শুক্রবার বিকালে ছেলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ছেলেকে ফিরিয়ে এনে বিষয়টি মীমাংসার করার জন্য বলা হলেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছে না। ছেলেটি আগেও একাধিক মেয়ের সাথে এ রকম প্রতারণা করেছে।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। স্থানীয়ভাবে সমাধানের আশ্বাস পেয়ে মেয়েটিকে তার নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

এনআই