মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার খর্দফুলবাড়ি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রোববার (৯ জুন) সকালে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত, ২৫টি বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা শিমুল হোসেন ও একিন বিশ্বাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসা নিয়ে শিমুল সমর্থক শওকত ও একিন সমর্থক ফুল মিয়ার মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রোববার সকালে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে মহম্মদপুর থানা ও নহাটা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ সময় পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শওকত হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ নামের দুজনকে আটক করে।

সংঘর্ষে গুরুতর আহত কামালকে (২৫) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত নাসিরুল (৪০), রমজান (৩০), একিনকে (৩৫) মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাহাজ্জৎ (৬২), লায়েব (৩২), সাহেব আলী (৪২), মুনছুর (২৩), মনিরুল (২৩), নান্নু শেখ (৩০), এনামুল (২৬), রাজিবুল শেখ (১৯), তবিবার শেখকে (৪৫) মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হোসেন জানান, এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এনআই