• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১০, ২০১৯, ০৮:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১০, ২০১৯, ০৮:৩৫ পিএম

ভূরুঙ্গামারীতে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১০

ভূরুঙ্গামারীতে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১০
পুলিশের রাবার বুলেটে আহত এক শ্রমিক ছবি : জাগরণ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পুলিশ কর্তৃক ছাত্রলীগ ও মোটর শ্রমিক লীগের ২ নেতা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন শ্রমিক ও পথচারী আহত হয়েছেন। পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপে তারা আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দাঙ্গা পুলিশের ৫ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত শ্রমিকরা জানান, রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় ভূরুঙ্গামারী থানার পুলিশ জয়মনির হাট হতে আসামি নিয়ে এএসআই আমিনুল ইসলাম থানায় আসার পথে বাসস্ট্যান্ডের ঝর্ণা মার্কেটের সামনে জ্যামে পড়ে। এ সময় পুলিশ সাইড চাইলে জ্যামে আটকা পড়া গাড়িগুলোর লোকজন অপারগতা প্রকাশ করলে পুলিশের এএসআই আমিনুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে ভ্যানের সামনে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবিদ আহম্মেদকে কিল-ঘুষি মারেন। এ সময় উপস্থিত জনতা এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং পুলিশকে ঘিরে ফেলে। মোটর শ্রমিক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান এগিয়ে এলে তাকেও লাঞ্ছিত করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের সাথে উত্তেজিত জনতা ও শ্রমিকের সংঘর্ষ বাধে।

এদিকে পুলিশ সদস্যের আক্রান্ত হওয়ার খবর থানায় পৌঁছালে ১৫-১৬ জনের একদল পুলিশ থানার গেট থেকে এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ ও ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়তে ছুড়তে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এতে শত শত পথচারী, বাসের যাত্রীসহ শ্রমিকরা লাঠিচার্জের শিকার হন।

এদিকে পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটের আঘাতে ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতরা হলেন আব্দুল কাদের (২৫), জাবেদ আলী (৬০), হানিফ (৩২), বাবু (২৮), সুকান্ত (২১), মানিক (৩০), মুকুল (৩০), আব্দুর রহমান (৫৫), সবুজ (২৬) ও রফিকুল ইসলাম। ওসমান গণি নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে ওসি জানিয়েছেন। আহতদের মধ্যে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ৯ জন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা এএসএম সায়েম। 

ঘটনার পরপরই  শ্রমিকরা ঢাকাসহ স্থানীয় রুটের সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দিলে রাত ৮টার দিকে ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি ইমতিয়াজ কবিরের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের মধ্যস্থতায় অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত ১২ জন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করার আশ্বাস দিলে সমঝোতা হয় বলে জানিয়েছেন মোটর শ্রমিক নেতা মিজানুর রহমান মিজান।

এ ব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির জানান, ভুল-বোঝাবুঝির কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। পরে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় জড়িত দাঙ্গা পুলিশের ৫ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে অপরাধ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনআই