• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০১৯, ০৯:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৬, ২০১৯, ০৯:১১ পিএম

দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ৬ কিশোরী ও নারী

দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ৬ কিশোরী ও নারী

বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতে পাচার হয়ে যাওয়া ৬ কিশোরী ও নারীকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে । রোববার (১৬ জুন) দুপুরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা দেশে ফেরত আসে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিজিবি ও বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ভারতীয় ইমপালস এনজিও নেটওয়ার্ক এদেশীয় এনজিও ব্র্যাকের কর্মকর্তাদের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। এ সময় পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ এরশাদুল হক ও ৫১ বিএন বিএসএফের কমান্ড্যান্ট  শ্রী কে উমেশ, তেঁতুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহুরুল ইসলাম, ব্র্যাকের মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচি প্রধান শাহারিয়ার সাদাত ও পরিচালক ব্যারিস্টার জেনেফা জব্বার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষর জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তেঁতুলিয়া থানায় তাদের ও পরিবারের স্বজনদের পরস্পর শনাক্ত করানো হয়। পরে আবার তাদের ব্র্যাকের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে দেওয়া হয়। সোমবার (১৭ জুন) তাদের কাউন্সেলিং শেষে নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

ভারত থেকে ফেরত আসা কিশোরী ও নারীরা হলেন নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের  বাবলু শেখের কন্যা আয়শা খাতুন (১৭), খুলনা সদরের বাগমারী গ্রামের মো. মহারাজ মির্জার কন্যা মায়া লাক্কী (২৪), পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার তোলাতুলি গ্রামের কালাম গাজীর কন্যা মোছা. শারমিন (২৫), বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার দাবারা গ্রামের ইউসুফ শেখের কন্যা মনিরা শেখ (১৭), খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বলিচন্দ্র গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের কন্যা পাখি শেখ (১৯), যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের আচর আলী মোল্লার কন্যা সাবিনা ইয়াসমিন (২৫)।

বিজিবি, পুলিশ ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জানান, পাচারকারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে অবৈধভাবে তাদের ভারতে নিয়ে যায়। পরে পাচার হওয়া নারী ও কিশোরীদের ভারতের চেন্নাইয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এদের কেউ সর্বনিম্ন এক বছর ও কেউ সর্বোচ্চ ৭ বছর আগে ভারতে পাচারের শিকার হন। প্রায় এক বছর আগে চেন্নাইয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ তাদের আটক করে আদালতের মাধ্যমে সেখানকার সরকারি একটি সেভ হোমে রাখে। এই এক বছর দেশে ফেরত আনতে ওই দুই এনজিও নানা তৎপরতা ও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

তেঁতুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, দালালরা তাদের চাকরিসহ নানা প্রলোভন দিয়ে ভারতে পাচার করে। প্রায় এক বছর ধরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি চালাচালির পর তাদের বিশেষ ট্র্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। প্রয়োজনীয় আইননানুগ ব্যবস্থা শেষে ফেরত আসাদের সংশ্লিষ্ট এনজিও কর্মকর্তাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ব্র্যাকের মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচি প্রধান শাহারিয়ার সাদাত বলেন, নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে দেশে ফেরত আসা নারীরা বর্তমানে আমাদের হেফাজতেই আছেন। তাদের শারীরিক, মানসিক ও নানা পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা ও পর্যবেক্ষণ করা হবে। এমন নানা প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে।

এনআই