• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০১৯, ০৯:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২০, ২০১৯, ০৯:৫১ পিএম

স্বামীর আগুনে দগ্ধ সাজেনুরকে বাঁচানো গেল না

স্বামীর আগুনে দগ্ধ সাজেনুরকে বাঁচানো গেল না

বরগুনার পাথরঘাটায় সাবেক স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ সাজেনুরকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে তিনি মারা গেছেন। নিহত সাজেনুর উপজেলার রুহিতা গ্রামের আবদুল মালেক আকনের মেয়ে।

সাজেনুরের ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহীম জানান, সকাল পৌনে ১০টায় তার মৃত্যু হয়। ইব্রাহীম আরো জানান, ১২ জুন রাতে সাবেক স্বামী বেল্লাল হোসেন পাথরঘাটার রুহিতা গ্রামে সাজেনুরের ঘরে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সাজেনুরের ঘুমন্ত মেয়ে সখিনা মারা যায়। এ সময় সাজেনুর ঘর থেকে বাইরে এলে বেল্লাল ও তার সহযোগীরা সাজেনুরের শরীরেও পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর বেল্লাল নিজেও ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। দগ্ধ সাজেনুরকে উদ্ধার করে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে তাকে রেফার করা হয়। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর সাজেনুর মারা যান।

সাজেনুরের বাবা আবদুল মালেক জানান, পরকীয়ায় আসক্ত বেল্লালের সঙ্গে প্রায়ই সাজেনুরের বাগ্‌বিতণ্ডা হতো। এ কারণে তাদের বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর বেল্লাল তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। এর জেরেই সাজেনুরের শরীরে আগুন দেয় সে।

পাথরঘাটা থানার ওসি হানিফ শিকদার বলেন, ১২ জুন দুপুরে নিহতের বাবা আবদুল মালেক আকন মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামি আত্মহত্যা করেছেন। বাকিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এনআই