• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০১৯, ১২:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৪, ২০১৯, ১২:০৭ পিএম

পৌরসভা উপ-নির্বাচন 

ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ শুরু

ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ শুরু

হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু। সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে এ ভোট গ্রহণ। হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে অনুষ্ঠিত এ উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ প্রার্থী। চারজনই আওয়ামী লীগের অন্যজন বিএনপি নেতা।

মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা হলেন- হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান (নৌকা), জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বতন্ত্র (আ.লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী, মো. মর্তুজ আলী (চামচ), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র (আ.লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী সৈয়দ কামরুল হাসান (জগ), পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বতন্ত্র (আ.লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু (নারকেল গাছ) ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম. ইসলাম তরফদার তনু (মোবাইল)। 

এদিকে উপ-নির্বাচনে পৌর এলাকার ভোটারদের মধ্যে তেমন উৎসাহ দেখা না গেলেও হবিগঞ্জ পৌরসভার ক্ষেত্রে অনেকটা ভিন্ন পরিবেশ বিরাজ করছে। স্থানীয় ভোটাররা মনে করছেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদের এ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই আওয়ামী লীগ ও তার বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় উপ-নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেও মনে করছেন অনেকে। 

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজানের পক্ষে নেই দলীয় বেশিরভাগ নেতাকর্মীই। উল্টো তারা মিজানের নৌকা ডুবাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নিলাদ্রি শেখর পুরকায়স্থ টিটুর পক্ষে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের এমন সিদ্ধান্তে বেকায়দায় পড়েছে সাধারণ কর্মীরা। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের একটি অংশ যখন নৌকা ডুবাতে মরিয়া, তখন বৈঠা হাতে নিয়ে নৌকার হাল ধরেছেন অপর একটি অংশ। 

নির্বাচন বিশ্লেষকদের দাবি, নির্বাচনে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও লড়াই হবে মূলত আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিজান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নিলাদ্রির মধ্যে। দু’জনেরই হবিগঞ্জ পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে আলাদা ব্যক্তি ইমেজ। যার কারণে ভোটের মাঠে কাউকে ছেড়ে কাউকে এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই। ভোটের মাঠে সমান জনপ্রিয়তা থাকায় তাদের দু’জনের মধ্যেই হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের চারজন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও দলীয় বিভাজনকে কাজে লাগিয়ে বিএনপির ভোট দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে মরিয়া হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক এম. ইসলাম তরফদার তনু। মোবাইল প্রতীক নিয়ে খুব জোড়ে-সুরেই মাঠে নেমেছেন তিনি। প্রথম অবস্থায় শূন্যতায় পুড়লে শেষ মুহূর্তে বিএনপির সকল সহযোগী সংগঠন তাকে সমর্থন দেয়ায় হিসাব পাল্টে যেতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে। এছাড়াও হবিগঞ্জ পৌরসভা বিএনপির বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে বলে সূএ জানায়।

হবিগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোটার ৪৭ হাজার ৮২০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৮৩৮ ও নারী ভোটার ২৩ হাজার ৯৮২ জন। হবিগঞ্জে এবারই প্রথম ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা নির্বাচন কমিশন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন দৈনিক জাগরণকে বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। হবিগঞ্জে প্রথমবারের মতো ইভিএম-এ ভোট হচ্ছে, তাই ইতোমধ্যে আমরা ডামি ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করেছি। এছাড়া ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গত ২৮ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র জি কে গউছ। ফলে মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এই শূন্য পদে আজ (২৪ জুন) উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

টিএফ