• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০১৯, ০৮:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৫, ২০১৯, ০৮:১৪ পিএম

প্রেমিকাকে বিয়ে করে প্রেমিক কারাগারে

প্রেমিকাকে বিয়ে করে প্রেমিক কারাগারে
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত প্রেমিক হাবিব সরদার ছবি : জাগরণ

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রেমিকাকে বিয়ে করে শাশুড়ির মামলায় কারাগারে গিয়েছেন হাবিব সরদার (২৪) নামের এক প্রেমিক। হাবিব উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের মাদরা গ্রামের আব্দুল মজিদ সরদারের ছেলে।

জানা গেছে, একই উপজেলার খোরদো গ্রামের রাজমিস্ত্রি কামরুল ইসলামের মেয়ে ও খোরদো মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মিমের (১৫) সাথে হাবিবের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানে রোববার (২৩ জুন) সকালে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রেমিক হাবিবকে বিয়ে করে মিম। তবে মিমের মা জোসনা আরা তাদের বিয়ে মেনে না নিয়ে নিজে বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় এ ঘটনায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা এলাকা থেকে প্রেমিক যুগলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে প্রেমিক হাবিব সরদারকে সাতক্ষীরা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় কলারোয়া থানার পুলিশ।

থানায় মায়ের দায়ের করা অপহরণের মামলা মিথ্যা জানিয়ে মিম বলে, ‘জোরপূর্বক বা ফুসলিয়ে নয়, স্বেচ্ছায় প্রেমিক হাবিবকে কাজী অফিসে নিয়ে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বিয়ে করেছি আমি। কিন্তু এ বিয়েতে আমার মায়ের সম্মতি না থাকায় মা আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমাকে বিয়ে করায় হাবিবের কোনো দোষ নেই।’

অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার হাবিবের বাবা আব্দুল মজিদ জানান, তার ছেলের সঙ্গে মিমের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রোববার সকালে মিম নিজ ইচ্ছায় কলারোয়া বাজারে গিয়ে হাবিবকে ফোন করে ডেকে নিয়ে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। মেয়ের বয়স অল্প হওয়ায় হাবিব মিমকে বোঝানোর চেষ্টা করে। তখন মিম বলে, বিয়ে না করলে সে নিজের শরীরে আগুন দেবে। এরপর বাধ্য হয়ে সকলের অগোচরে তারা বিয়ে করে।

তিনি আরো বলেন, বিয়ের পর দুজন ঝাউডাঙ্গা এলাকায় এক আত্মীয় বাড়িতে অবস্থান করছিল। মিমের মা থানায় মিথ্যে অপহরণের মামলা দেওয়ায় পুলিশ দুজনকে আটক করে। আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপহরণ মামলা দিয়েছেন মেয়েটির মা।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর-উল-গীয়াস বলেন, মেয়েটির সঙ্গে ছেলেটির প্রেমের সম্পর্ক। স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছে বলে মেয়েটি স্বীকারোক্তি দিচ্ছে। তবে যেহেতু তার বয়স এখনো ১৮ হয়নি, তাই তার বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি হাবিবের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আরো বলেন, ‘আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার ও আসামি হাবিবকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। আর মেয়েটিকে তার মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।’

এনআই