• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০১৯, ১০:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৯, ২০১৯, ১০:১৩ পিএম

নড়াইলে বসতঘরে সাপের আস্তানা

নড়াইলে বসতঘরে সাপের আস্তানা

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের শামুকখোলা গ্রামের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক সৈয়দ মিজানুর রহমানের বসতঘরের মেঝেতে এক জোড়া বিষধর গোখরা সাপ অন্তত ৪৫টি বাচ্চা ফুটিয়েছিল। বাচ্চাগুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছিল। বাড়ির মালিক টের পাওয়ার পর শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে ঘরের মেঝেতে মাটি খুঁড়ে একে একে সব সাপ মারা হয়েছে। এ সময় বেশ কিছু সাপের ডিম ধ্বংস করা হয়েছে।

মিজানুর রহমান জানান, শনিবার দুপুরে বাড়ির উঠানে একটি গোখরা সাপের বাচ্চাকে মুরগি ঠোকাচ্ছিল। সাপের বাচ্চা দেখে তখন সন্দেহ হয় যে, ঘরের কোথাও সাপে বাচ্চা ফুটিয়েছে। সেই ধারণা থেকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে ঘরের মেঝে খোঁড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে সাপের আস্তানারা  সন্ধান মেলে। সাপের আস্তানার সন্ধান পাওয়ার পর ৭ ফুট লম্বা একটি বড় গোখরা সাপ (মা সাপ) ফুঁসে ওঠে। তখন লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাপটি মারা সম্ভব হয়। এ সময় গর্তের মধ্যে থাকা অসংখ্য সাপ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪০-৪৫টি সাপ মারা হয়েছে।

সরুশুনা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক রাজীব হোসাইন বলেন, ‘সাপের সন্ধানের খবর শুনে আমরাও সৈয়দ মিজানুর রহমানের বাড়িতে ছুটে যাই। তখন আমরাও সাপ মারতে শুরু করি। একটি মা সাপ যার দৈর্ঘ্য হবে কমপক্ষে ৭ ফুট। এছাড়া দেড় থেকে দুই ফুট আকৃতির অন্তত ৪০-৪৫টি বাচ্চা সাপ মারা হয়। এছাড়া সাপের অনেক ডিম ধ্বংস করা হয়। এসব ডিম থেকে কয়েক দিনের মধ্যেই বাচ্চা ফুটে বের হতো।

এনআই