• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০১৯, ০৬:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৩০, ২০১৯, ০৬:৫৪ পিএম

মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা গ্রেপ্তার

মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা গ্রেপ্তার

মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধাকে (২৮) শনিবার (২৯ জুন) রাতে জেলা শহরের বাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে এদিন সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়। সদর উপজেলার চর কেওয়ার ইউনিয়নের টরকি গ্রামের রেহানা বেগম তার পরিবারের ওপর হামলা-মারধর করা হয় উল্লেখ করে মামলাটি করেন।

মামলার বাদী রেহানা বেগম জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধাসহ ছাত্রলীগের ১০-১২ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বাদীর বাড়িতে গিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার চুরিসহ মামলার ১৪৩, ১৪৮, ৩২৩, ৩৮০, ৫০৬, ১১৪ ধারায় বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধাকে প্রধান করে আরো ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তবে মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধাকে থানা থেকেই মুক্ত করার জন্য মুন্সীগঞ্জ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা-কর্মী ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা বিভিন্ন লবিং, গ্রুপিংসহ মামলার বাদী রেহানা বেগম ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির প্রভাবশালী আত্মীয়স্বজন ও ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের লোকজন বিভিন্ন ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করছে।

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধাকে এর আগেও পুলিশ কয়েকবার গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু জেলার আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী শীর্ষ নেতারা পুলিশ প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তাকে মুক্ত করে নিয়ে যান।

এ প্রসঙ্গে মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ পাভেল বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধার মামলা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়। তবে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। এ ঘটনায় যেন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পায়, আমি প্রশাসনের কাছে সেই আশাই করছি।’

তবে জেলা পুলিশ সুপার মো.জায়েদুল আলম জানিয়েছেন, সদর থানায় মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এখানে কোনো প্রকার তদবির, লবিং, গ্রুপিং চলবে না; সে যত বড় নেতা ও সন্ত্রাসীই হোক না কেন। অপরাধীরা তাদের শাস্তি পাবেই। আইন তার নিজের গতিতে চলবে।

এ প্রসঙ্গে সদর থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন জানান, এলাকার স্থানীয়ভাবে একটি পরিবারকে দীর্ঘদিন যাবৎ হামলাসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও বাড়িতে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন করত বলে বাধ্য হয়ে সদর উপজেলার রেহানা বেগম তার পরিবারের জান-মাল রক্ষার্থে এই মামলা করতে বাধ্য হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে।

এনআই

আরও পড়ুন