• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০১৯, ০৮:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১, ২০১৯, ০৮:৩৭ পিএম

বরিশাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের যত অভিযোগ

বরিশাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের যত অভিযোগ
মইদুল ইসলাম - ফাইল ছবি

বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন পরিষদের সদস্যরা। জেলার সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত না করে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প একক সিদ্ধান্তে করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

রোববার (৩০ জুন) দুপুরে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সকল সদস্যদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে জেলা পরিষদ সদস্য ও উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম জামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজস্বের ১ কোটি ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরের রাজস্বের ২ কোটি টাকা যা সদস্যদের অগোচরে চেয়ারম্যান এককভাবে প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। এই অর্থ আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে সদস্যদের মাঝে বণ্টনের মাধ্যমে সমন্বয় করা এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রিভাইস বাজেটের ৬ লাখ টাকার প্রকল্প যেসব সদস্যর থেকে এখনও নেয়া হয়নি, তা গ্রহণের দাবি জানান।

বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, বরিশাল জেলা পরিষদ সদস্যগণের প্রস্তাবসমূহ পরিষদের ২য় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত কল্পে সদস্যপ্রতি ৪ ভাগ হারে সকল বরাদ্দের প্রকল্প প্রদান করতে হবে। চেয়ারম্যান ৩ কর্মদিবস অফিসে অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব নিয়ে অফিস সচল রাখতে হবে। ৭ কর্মদিবস অনুপস্থিতেতে প্যানেল চেয়ারম্যানকে আর্থিক ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

জেলা পরিষদের নিয়ম বহির্ভূতভাবে মার্কেটের লিজ দেয়া মার্কেটের বাথরুমগুলো পুনরুদ্ধার ও পরিষদের অনুমোদনহীন সকল জমি ও মার্কেটের লিজ বাতিল করতে হবে। জেলা পরিষদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পূর্ণ তালিকার কপি সকল সদস্যদের মাঝে বণ্টন করতে হবে। জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর অনিয়ম দূর করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ৭ ভাগ হারে ঊৎকোচ গ্রহণ ও টেবিলে টেবিলে ঘুষ/বকশিস প্রথা বন্ধ করতে হবে।

ঘুষ দুর্নীতি ও বকশিস মুক্ত জেলা পরিষদ ঘোষণা করতে হবে। ২০১৯-২০ সালে রাজস্বের ক্ষতি করে পরিষদের সিদ্ধান্ত ঊপেক্ষা করে চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে মীরগঞ্জ খেয়াঘাটে উদ্ভূত সমস্যার আশু সমাধান ও বেদখল হওয়া মেহেন্দিগঞ্জ খেয়াঘাটি উদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিষদে আগত পরিষদ সংক্রান্ত সকল পত্রাদি তৎক্ষণাৎ সদস্যদের অবহিত করতে একটি কপি সদস্যদের নোটিশ বোর্ডে সাঁটিয়ে দিতে হবে।

চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে সভা শুরু হলে সভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যানকে সভাস্থলে উপস্থিত থাকতে হবে। বরিশাল জেলা পরিষদকে গতিশীল করা ও সকল অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধের লক্ষ্যে সদস্যদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠনসহ ১৮টি দাবি তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাড. মাওলাদ হোসেন সানা, মানওয়ারুল ইসলাম অলি, প্রফেসর মো. বারী, উর্মীলা বাড়ৈ, সেলিনা বাদল, মো. পলাশ প্রমুখ।

আরও পড়ুন