• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০১৯, ১২:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২, ২০১৯, ১২:০৮ পিএম

শাহীনের আলোচিত ভ্যান ছিনতায়ের ঘটনায় আটক ৩

শাহীনের আলোচিত ভ্যান ছিনতায়ের ঘটনায় আটক ৩

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়ায় আলোচিত ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী নাইমুল ইসলাম নাঈম (২৪) ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। নাঈম যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার বাবর আলী মোড়লের ছেলে। 

আটককৃত অন্যরা হলেন- সাতক্ষীরা সদরের গোবিন্দকাটী গ্রামের মৃত হামজার আলীর ছেলে বাকের আলী (৪৫) ও কলারোয়া থানার আলাইপুর গ্রামের নুনু মিস্ত্রির ছেলে আরশাদ পাড় (৬৫)।

সোমবার রাত ৮টার দিকে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান। 

এ সময় তিনি জানান, শাহীনের ভ্যান ছিনতাইকারীর মূল পরিকল্পনাকারী নাইমুল। তাকে সোমবার সকালে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। পুলিশের কাছে দেওয়া তথ্য মতে, গত শুক্রবার (২৮ জুন) যশোর জেলার কেশবপুর বাজার থেকে নাইমূলসহ তিনজন শাহিনের ভ্যান ভাড়া করে নিয়ে আসে। সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া এলাকায় তারা পৌঁছালে ফাঁকা জায়গা দেখে শাহীনকে থামতে বলে। এরপর ভ্যান রেখে চলে যেতে বলে তারা। অসহায় শাহীন ভ্যান রেখে যেতে রাজী না হলে তারা তাকে ভ্যানের রডের সাথে ধাক্কা দিয়ে মাথা থেঁতলে দিয়ে তার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারে এসে তারা প্রথমে বাকের আলীর কাছে ভ্যানের ৪টা ব্যাটারি ৬ হাজার ২৩৬ টাকা বিক্রি করে দেয়। 

এরপর জেলার কলারোয়া বাজারের মির্জাপুর মোড়ে এসে আরশাদ পাড়ের কাছে ভ্যানটি সাড়ে ৭ হাজার টাকা বিক্রি করে। পরে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যানের ব্যাটারিসহ ওই দিন বিকাল ৫টার দিকে বাকের আলীকে তার বাড়ি থেকে এবং আরশাদ পাড়কেও ভ্যানসহ তার বাড়ি থেকে আটক করে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৮ জুন) যশোর জেলার কেশবপুর মঙ্গলকোট গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে শাহীন (১৪)। সে কেশবপুর দোলঘাটা দার সুন্নত দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। বাড়ড়ি আয়ের আশায় ওই দুর্বৃত্তদেরকে ভাড়া নিয়ে কেশবপুর বাজার থেকে বের হয়ে সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা এলাকায় রওনা হয়। 

পথিমধ্যে ধানদিয়া গ্রামের হামজাম তলা মাঠে ঢুকে একটি পাটক্ষেতের পাশে ভ্যানটি থামাতে বলে। থামালে দুর্বৃত্তরা শাহীনের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ভ্যান ও শাহীনের কাছে থাকা মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়। 

এ সময় ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে শাহীন। পরে জ্ঞান ফিরে শাহীন কান্না শুরু করলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় খবর দেয়। পরবর্তীতে শাহীনের অবস্থা অবনতি দেখা দিলে ওই দিনই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

রোববার (৩০ জুন) ভোর ৪টার দিকে সেখানে তার অপারেশন শেষ করেন চিকিৎসকরা। এর আগে শনিবার (২৯ জুন) রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। তিনি জানান, ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালিয়ে সংসার চালানো কিশোরটির দায়দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কেএসটি