• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০১৯, ০৬:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২, ২০১৯, ০৬:৫৭ পিএম

নুসরাত হত্যা মামলায় পিয়নের সাক্ষ্য গ্রহণ

নুসরাত হত্যা মামলায় পিয়নের সাক্ষ্য গ্রহণ

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার অভিযোগ গঠনে এখনো পর্যন্ত চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও তিনজনের জেরা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সব আসামিকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে হাজির করা হয়। ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে মামলার বাদী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান, বান্ধবী নিশাত, সহপাঠী নাসরিন সুলতানা ফুর্তি ও পিয়ন নুরুল আমিনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার নুসরাতের বান্ধবী ফুর্তির জেরা সম্পন্ন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এবং মাদ্রাসার পিয়ন নুরুল আমিনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু জানান, বুধবার (৩ জুলাই) মাদ্রাসার পিয়ন নুরুল আমিনের জেরা সম্পন্ন করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এর আগে হত্যা মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে ৭ জন সাক্ষী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সব আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এদিন অন্যান্য দিনের মতো যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আদালত প্রাঙ্গণে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান ওরফে রাফিকে গত ৬ এপ্রিল গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে রাফি মারা যায়। এ ঘটনায় নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ ও পিবিআই এ মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ১২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এর আগে গত ২৭ মার্চ নিজ কক্ষে ডেকে নুসরাতকে শ্লীলতাহানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা। এ ঘটনায় নুসরাত রাফির মা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ সিরাজ-উদ-দৌলাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।

এ মামলায় মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে পিবিআই ৫ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করলে আদালত তা অনুমোদন করেন। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মেলায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া যৌন হয়রানির মামলার পর নুসরাত রাফির জবানবন্দি গ্রহণের সময় তার ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় সাইবার আইনের মামলায় গ্রেফতার সোনাগাজী মডেল থানার তৎকালীন ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন কারাগারে রয়েছেন।

এনআই

আরও পড়ুন