• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০১৯, ০৮:৪৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩, ২০১৯, ০৮:৪৯ এএম

মেঘনায় মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা

মেঘনায় মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা

লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে দিন-রাত জাল ফেলেও জেলেদের জালে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। তার উপরে বেড়েছে নৌকা আটক করে চাঁদাবাজি। এতে করে হতাশ ও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার জেলে। অন্যদিকে ইলিশের আমদানি না থাকায় মাছ ঘাটগুলোতে অলস সময় পার করছেন আড়ৎদাররা। তবে প্রজনন মৌসুমে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করছেন জেলা মৎস্য বিভাগ।

 

জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১শ কিলোমিটার এলাকায়জুড়ে ইলিশের অভয়াশ্রম। এ জেলায় প্রায় ৬০ হাজার জেলে প্রতিদিন নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্ভর করে। গেল মার্চ-এপ্রিল দু’ মাস নদীতে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যে সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে ফিরছেন খালি হাতে। ইলিশের এমন দুর্দিনে অনেকটা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা। নদীতে মাছ না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটছে জেলে পরিবারগুলোর।

জেলে ও আড়ৎদাররা জানান, দিন-রাত নদীতে জাল ফেলে যে মাছ শিকার করছে তা দিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকার তেলের খরচও মিলছে না। মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। কিন্তু নদীতে মাছ নাই বললেই চলে। তার উপরে নদীতে নৌকা ও ট্রলার আটক করে চাঁদাবাজি বেড়েই চলছে। ফলে জেলেরা হতাশ ও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছেন। তবে আশানুরূপ ইলিশ না পাওয়ায় নদীর নাব্যতা সংকটকে দায়ী করছেন তারা।  

এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যাহ বলেন, প্রজনন মৌসুম আশ্বিন মাসের পূর্ণিমার সময় সমুদ্র থেকে ইলিশ নদীতে ডিম ছাড়তে আসে। তখন উপকূলে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে। ডিম ছেড়ে সমুদ্রে চলে যাওয়া কারণে বর্তমান সময়ে জেলেরা ইলিশ পাচ্ছে না। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশা জেলা মৎস্য বিভাগের এই কর্মকর্তা।

এদিকে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার আটক করে টাকা (চাঁদা) আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে নৌ-পুলিশ সদস্যরা কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। 

কেএসটি