• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০১৯, ০৯:৪৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৪, ২০১৯, ১০:১৬ এএম

৪ মাস পরেও ২৪ হাজার জেলে খাদ্য সহায়তা পায়নি

৪ মাস পরেও ২৪ হাজার জেলে খাদ্য সহায়তা পায়নি

লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার ৪ মাস পার হলেও উপকূলীয় এলাকার প্রায় ২৪ হাজার জেলে সরকারি খাদ্য সহায়তা পায়নি। এতে করে চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছে এসব জেলে পরিবারগুলো। ফলে জেলেপল্লীতে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। অপরদিকে, ভরা মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ার পরিসংখ্যান থাকলেও জালে ইলিশ আসছে না। ঘাটগুলোতে ইলিশের আমদানি না হওয়ায় অলস সময় কাটাচ্ছেন জেলে ও আড়ৎদাররা। 

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর জেলায় প্রায় ৫০ হাজার ২শ ৫০ জন জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৪২ হাজার। তবে বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা আরো বাড়বে। এদের সবাই মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনাল এলাকার ১শ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীর ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষিত এলাকায় ১ মার্চ-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞার দুই মাস ও মে-জুন চার মাস প্রতি জেলে পরিবারকে ৪০ কেজি হারে ভিজিএফের চাউল বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু ২৫ হাজার ৯শ ৪৭ জেলেকে এ খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়। 

তবে অভিযোগ রয়েছে এসব চাল বিতরণের সময়ও নানা অনিয়ম করা হয়েছে। ২৪ হাজার ৩শ ৫ জন জেলেকে কোন খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়নি। আদৌ দেয়া হবে কিনা, সেটাও জানা নাই কারও। এ নিয়ে জেলেদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা।

মতিরহাট মাছ ঘাটের জেলে কামরুল, রফিক, মজুচৌধুরীরহাট মাছ ঘাটের আড়ৎদার হাবিবুর রহমান জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে মেঘনা নদীতে প্রচুর ইলিশ মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু এবার তাও পাওয়া যাচ্ছেনা। এসব এলাকার ছোট-বড় প্রায় ৩০টি মাছ ঘাটে আড়ৎদার ও জেলেরা মাছ না পাওয়ায় অলস সময় পার করছেন। মাছ না পাওয়ায় খালি হাতে ফিরছেন জেলেরা। দিন-রাত নদীতে জাল ফেলে যে মাছ শিকার করছে তা দিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকার তেলের খরচও মিলছে না। ইলিশের এমন দুর্দিনে অনেকটা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে  মানবেতর জীবন কাটছে জেলে পরিবার। 

জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ নিষেধাজ্ঞার সময় ও মে-জুনসহ ৪ মাসে প্রতি জেলেকে ৪০ কেজি হারে ভিজিএফের চাউল দেয়ার কথা। ৪ মাস পার হলেও অনেক জেলে এখনো তা পায়নি। বর্তমানে জেলেপল্লীতে হাহাকার চলছে। 

খাদ্য সহায়তা না পাওয়ার কথা স্বীকার করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচএম মহিব উল্যাহ বলছেন, তাদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। জলবায়ু, বৃষ্টি কম, নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় নদীতে মাছ কম। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের দিকে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করেন তিনি।

কেএসটি