• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০১৯, ০২:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৪, ২০১৯, ০২:৫১ পিএম

সৌদি খেজুর চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন ভালুকার কৃষকরা

সৌদি খেজুর চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন ভালুকার কৃষকরা

বাংলাদেশের আবহাওয়ায়ও সৌদি খেজুর চাষ সম্ভব। কয়েক বছর আগে থেকেই এ দেশে খেজুর চাষ শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তারা অনেকটা সফলও হয়েছেন। লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে অনেকেই ঝুঁকছেন খেজুর চাষের দিকে। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামের সফল প্রথম খেজুর চাষি মোতালেবের পাশাপাশি একই গ্রামের অপর মোতালেব হোসেন ইবা তার সৌদি খেজুর বাগানে খেজুর ফলাতে সক্ষম হয়েছেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় হবিরবাড়ী ইউনিয়নের পাড়াগাঁও গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে সৌদি খেজুর চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা। এলাকার সৌদি ফেরত কৃষক আব্দুল মোতালেব বর্তমান নাম খেজুর মোতালেব, দেশে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিকভাবে সৌদি খেজুর বাগান করে এরই মধ্যে কোটিপতি হয়ে গেছেন। তার দেখানো পথ ধরে এখন এ অঞ্চলের অনেক বেকার যুবক সৌদি আরবের খেজুর চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। আর খেজুর চাষে প্রয়োজনীয় সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ। ঐদিকে, খেজুর বাগানে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে খুশি স্থানীয় শ্রমিকরাও।

সৌদি ফেরত কৃষক আব্দুল মোতালেব ১০ বিঘা জমির উপর গড়ে তুলেছেন এই বিশাল খেজুর বাগান। যেখানে রয়েছে সুস্বাদু আজওয়া, ছুক্কারী, আমবাগ, বারহী এবং বকরী জাতের ১২শ বড় খেজুর গাছ এবং চারা আকারে আরো দুই হাজার। এর মধ্যে ৮০টি গাছে ফলন হচ্ছে বছরে দেড় থেকে দুই টন খেজুর। আর প্রতিকেজি খেজুর বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায়। পাশাপাশি এই খেজুরের চারার ব্যাপক চাহিদা তৈরি হওয়ায় প্রতিটি চারা বিক্রি করছেন ২ থেকে ৫ হাজার টাকা দরে। আর প্রতিটি কলমের চারা বিক্রি করছেন ১০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা দরে। এভাবে চারা ও খেজুর বিক্রি করে বছরে তার আয় হচ্ছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা।

মোতালেবের এই সাফল্য থেকে উৎসাহিত একই গ্রামের দুবাই ফেরত যুবক ইবা দুই বিঘা জমিতে খেজুর চাষ করে কয়েক লাখ টাকা আয় করেছেন। এসব খেজুর বাগানে কাজ করতে পারায় এবং এলাকায় ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায়ও খুশি শ্রমিকরা। 
এ দিকে, দেশে সৌদি আরবের খেজুর চাষে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেয়ার কথা জানালেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন নাহার। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ময়মনসিংহ অঞ্চলে আরবের খেজুর চাষে বিপ্লব ঘটবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। আর এর মাধ্যমে দেশে–বিদেশি খেজুরের চাহিদা স্থানীয়ভাবেই মেটানো সম্ভব হবে।                                         
কেএসটি