টঙ্গীর মধুমিতা এলাকায় অভিযান চালিয়ে লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি ভুয়া এমএলএম কোম্পানির সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূল হোতা আলতাবুর রহমানসহ ৩২ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১১। এ সময় ৭৩ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ অবৈধ মালামাল। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে এই অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব-১১-এর এএসপি মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, দুপুর ২টার দিকে মো. কাউসার নামের এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাবের সদস্যরা এই অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করেন। পরে আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও জব্দকৃত নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এতে ওই ভুয়া এমএলএম কোম্পানি মাসিক ১৫ হাজার ও তদূর্ধ্ব টাকা বেতনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে ৩টি ভিন্ন প্যাকেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে যথাক্রমে ৩০ হাজার, ৪০ হাজার ও ৫৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে।
পরবর্তী সময়ে প্রশিক্ষণের নামে কয়েক সপ্তাহ কালক্ষেপণ করে প্রত্যেককে নতুন ২ জন সদস্য সংগ্রহের শর্ত প্রদান করে। নতুন সদস্য সংগ্রহ করে দিলে সংগৃহীত টাকা থেকে সামান্য কমিশন প্রদান করে। নতুন সদস্য দিতে না পারলে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে খালি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে তাড়িয়ে দেয়। প্রতিবাদ করলে ভাড়াটে লোকজন দিয়ে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে থাকে। উদ্ধারকৃত ওই ৭৩ ভুক্তভোগীকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে র্যাব-১১-এর সদস্যরা প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে প্রদান করেন।
এনআই