• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০১৯, ০৮:৩৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৫, ২০১৯, ০৮:৩৮ এএম

বাকৃবিতে সিলভার কার্পের নুডুলস তৈরিতে সফলতা

বাকৃবিতে সিলভার কার্পের নুডুলস তৈরিতে সফলতা

ইলিশের নুডুলসের পর এবার সিলভার কার্পের নুডুলস তৈরিতে সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। এতে করে শিশু-কিশোর ও বয়স্করা কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই মাছের পুষ্টিগুণ লাভ করতে পারবেন। এমনকি সিলভার কার্প মাছে মূল্য সংযোজনের কারণে মাছ চাষিরাও লাভবান হবেন।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে উদ্ভাবিত নুডুলসের প্যানেল টেস্ট করা হয়। সেখানে সিলভার কার্প মাছের নুডুলস তৈরির সফলতার কথা জানান প্রধান গবেষক ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখা। গবেষক দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহযোগী গবেষক অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থী লাবিবা ফারজানা পল্লবি এবং শামছুননাহার সীমা।

প্রধান গবেষক ড. ফাতেমা হক শিখা বলেন, সিলভার কার্প একটি বিদেশি কার্প জাতীয় মাছ। দেশে প্রচুর পরিমাণে চাষ হলেও কাঁটা বেশি থাকায় অনেকেই খেতে চান না। এতে উৎপাদনকারী মাছ চাষি যেমন বাজারে সঠিক দাম পাচ্ছেন না তেমনি ভোক্তাও এ মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই মাছটিকে কাঁটামুক্ত ও স্বাদ অক্ষুণ্ণ রেখে বিকল্প উপায়ে ভোক্তার কাছে মাছের স্বাদ পৌঁছানোর জন্যই নুডুলসটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের তত্ত্বাবধানে ২০১৭ সাল থেকে ওই গবেষণা করা হয়। 

গবেষণা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, সিলভার কার্পের নুডুলস তৈরির জন্য প্রথমে সিলভার কার্প মাছ থেকে মাংস সংগ্রহ করে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাংস থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি ও চর্বি বের করে নিয়ে কিমা তৈরি করা হয়েছে। যেহেতু মাছের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অংশ নুডুলসের স্বাদ, গন্ধ এবং সংরক্ষণের জন্য গুরত্বপূর্ণ। তাই ময়দার সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণ মাংসের কিমা এবং অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে নুডুলস তৈরি করা হয়েছে। 

নুডুলসের গুণগত মান সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতি ১০০ গ্রাম নুডুলসে আমিষের পরিমাণ ২৩.৮০ শতাংশ, লিপিডের পরিমাণ ৮.৬ শতাংশ, শর্করার পরিমাণ ৫৫.৫৪ শতাংশ, অ্যাশ ২.৯৭ শতাংশ এবং পানির পরিমাণ ৯.০৯ শতাংশ। এছাড়াও ১০০ গ্রাম নুডুলস থেকে মোট ৩৯৪.৭৬ ক্যালরি পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে নুডুলসটি প্রায় এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। 

এই নুডুলসটিকে বাজারজাত করার বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন নুডুলস বাজারজাতকরণ কোম্পানি আমার সঙ্গে কথা বলেছে। আমি নুডুলসটি বাজারে আনার জন্য চেষ্টা করছি।

কেএসটি