• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০১৯, ০২:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৭, ২০১৯, ০২:৩৬ পিএম

জমি দখলের চেষ্টা, ছাত্রলীগ নেতাকে গাছে বেঁধে গণধোলাই

জমি দখলের চেষ্টা, ছাত্রলীগ নেতাকে গাছে বেঁধে গণধোলাই

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ঝাউডগী এলাকায় জমি দখল করতে গিয়ে কুশাখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক মোবারক হোসেনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মোবারক হোসেনসহ কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরইমধ্যে ছাত্রলীগ নেতা মোবারক হোসেনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তোলপাড়। নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে ঝাউডগী এলাকায়।

নদী ভাঙনকবলিত এলাকার বাসিন্দা জহির মাঝি ও ইউসুফ হোসেন জানান, মেঘনার ভাঙনে সব কিছু হারিয়ে এখন আমরা নিঃস্ব। বারবার নদী ভাঙান শিকার হয়ে গত ১০ বছর আগে কুশাখালীর ঝাউডগী এলাকায় এক খণ্ড জমি কিনে পরিবার নিয়ে বসবাস করি।  বেশ কয়েকদিন ধরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা উক্ত জমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে এবং একাধিকবার হামলা চালিয়ে মারধর ও চাঁদা দাবি করে। গত শুক্রবার ভোরে মোবারক হোসেন ৫০-৬০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে বসতবাড়িতে হামলা চালায়। এসময় জমি দখলের চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে ঘেরাও করে মোবারক হোসেনকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। 

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোবারক হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছি। আমার সম্পত্তিতে কাজ করতে গেলে ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতার ইন্ধনে পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। আমি রাজনীতি প্রতিহিংসার শিকার। গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে এ ছাত্রলীগ নেতা।

এ দিকে, কুশাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মেঘনার ভাঙনের শিকার হয়ে জহির মাঝি ও ইউসুফ হোসেন পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। মোবারক হোসেন ও ৫০-৬০ জন লোক নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে। এসময় মোবারক হোসেনকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মোবারক হোসেনসহ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর কি হয়েছে সেটা জানা নেই।

এ দিকে, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মো. আবু তালেব জানান, মোবারক হোসেন কুশাখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়কের দায়িত্বে রয়েছে। ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে কেউ অপরাধ করলে, তার দায় ছাত্রলীগ নিবে না। বরং অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. মফিজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধে দু-পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় মোবারক হোসেনসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে দেয়ার কথা বলে তাদের নিয়ে যায়। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কেএসটি