• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০১৯, ০৪:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০১৯, ০৪:৪২ পিএম

সুনামগঞ্জে সুরমার পানি বিপৎসীমার ওপরে

সুনামগঞ্জে সুরমার পানি বিপৎসীমার ওপরে

গত ৪ দিনের অব্যাহত বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি ও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সতর্কবার্তায় বর্তমানে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানানো হয়।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভারতের মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে সুনামগঞ্জে। গত ৪ দিনের বর্ষণ ও ঢল অব্যাহত রয়েছে। রেকর্ড বৃষ্টিপাতে সুরমা, যাদুকাটা, সোমেশ্বরী, খাসিয়ামারা, চেলাসহ বিভিন্ন সীমান্তে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। প্রধান নদী সুরমার পানি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থাপনা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৫ মিমি রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রেকর্ড বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষ। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত আছে। এ কারণে নদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, জামালগঞ্জ উপজেলার বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে জেলার নিম্নাঞ্চল।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, তাহিরপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ তাহিরপুর-বাদাঘাট, বাদাঘাট-সোহালা, বাদাঘাট-টেকেরঘাট-বাগলী সড়কও ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক একাধিক স্থানে ভাঙন ও পানিতে ডুবে যাওয়ার ফলে জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িক বন্ধ রয়েছে। এতে করে জনজীবনে এসেছে দুর্ভোগ। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেক্ষে সতর্ক অবস্থানে আছে সবাই।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সকল উপজেলায় স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ধার টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় ৩ হাজার ৭৩৫ প্যাকেট শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং জেলা ও উপজেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থলে থাকা এবং সকল উপজেলায় মেডিকেল টিম গঠন করার জন্য সোমবার রাত ১১টায় নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।

এনআই

আরও পড়ুন