• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০১৯, ১০:০৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১২, ২০১৯, ১০:০৯ এএম

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ধোবাউড়ার ৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত 

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ধোবাউড়ার ৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত 

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নিতাই তীর ভেঙে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার ১নং দক্ষিণ মাইজপাড়া, ২নং গামারীতলা, ৪নং পোড়াকান্দুলিয়া, ঘোঁষগাও, গোয়াতলা এবং ধোবাউড়া সদর ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ফলে শত শত পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। শতাধিক হেক্টর আমনের বীজতলা তলিয়ে হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের কিছু অংশেও বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের বহরভিটা, কালিনগর,উদয়পুর, রাউতি, মানিকপুর আঠাম, পাতামসহ বেশ কিছু গ্রামে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নে সোহাগীপাড়া, খাগগড়া, পঞ্চনন্দপুর, কালিকাবাড়িসহ বিভিন্ন গ্রামে অর্ধশতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। 

গামারীতলা ইউনিয়নে কামালপুর, মুক্তাগাছা, রনসিংহপুর, রায়পুর, রানিপুর, রামনাথপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে অর্ধশতাধিক পরিবারের লোকজন পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে কয়েকটি ঘর পানিতে ভেসে গেছে। 

ঘোঁষগাও ইউনিয়নে গলইভাঙ্গা, গানই, বামনবধুয়া, ভালুকাপাড়া, ভুইয়াপাড়াসহ বেশ কিছু গ্রামে পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হুমকির মুখে রয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। 
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলায় গত দুইদিনের টানা বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে কয়েকটি ঘর। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। পানি উঠে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপজেলার দুধনই রাউতি রাস্তায় খালের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবল স্রোতে রাস্তাটি ভেঙে যায়। এতে সাধারণ মানুষের চলাচল করতে পারছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, প্রায় ১০০ হেক্টর বীজতলা পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। 

ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন তালুকদার জানান, পানিবন্দি লোকদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, পানি শুকিয়ে গেলে যেসব স্থানে ভাঙনের দেখা দিয়েছে সেগুলো সংস্কার করা হবে। 

ঘোঁষগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল হক জানান, সকাল থেকে পানিবন্দি লোকদের সরানো হচ্ছে। গামারীতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান জানান, বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিকুজ্জামান জানান, আমরা ত্রাণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, খুব শিঘ্রই ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে। 

উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম জানান, আমি বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছি, পানিবন্দি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং ত্রাণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

কেএসটি