• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০১৯, ১২:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৫, ২০১৯, ১২:৩১ পিএম

বেড়েছে সবজির দাম

চাটমোহরে ডুবেছে ৫৩৫ হেক্টর আবাদি জমি

চাটমোহরে ডুবেছে ৫৩৫ হেক্টর আবাদি জমি

চলতি মৌসুমে পাবনার চাটমোহরে বর্ষায় ৫৩৫ হেক্টর আবাদি জমি ডুবে গেছে। বর্ষার প্রভাব পড়েছে শাক-সবজির দামের ওপর। প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে পাটের ফলনে।

কৃষক আজাদ আলী ও আব্দুল মান্নান জানান, এ বছর হঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ষায় বেশি ক্ষতি হয়েছে ঝিঙা, পটল ও ঢেঁড়শের আবাদে। মরে গেছে মরিচের গাছ। 

বর্ষার প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। প্রতিদিনই কেজিতে ১০/১৫ টাকা বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে চাটমোহর নতুনবাজারে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৭০/১৮০ দরে। দাম কেজিতে ৫/৮ টাকা বেড়েছে পটল, ঝিঙাসহ অন্যান্য সবজিতে। আড়ৎদার ও বিক্রিতেরা বলছেন, বর্ষার কারণ ফলন কমে যাওয়ার কারণে দাম বাড়ছে।

এদিকে, পানির কারণে তাড়াহুড়ো করে পাট কাটছেন কৃষক। কারণ পানিতে থাকা পাট কাটা কষ্টসাধ্য ও অধিক ব্যয় সাপেক্ষ। অনেকটা অপরিপক্ক পাট কাটার কারণে ফলনের উপর প্রভাব পড়বে। এ শঙ্কা খোদ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র বলছে, এ বছর বপন ও রোপণ মিলিয়ে আমনের আবদ হয়েছে ১১ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে। সবজির আবাদ হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমিতে। তোষা ও মেস্তা মিলিয়ে পাটের আবাদ হয়েছে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ৫শ হেক্টর আমন ধান। তলিয়ে গেছে ৩০ হেক্টর সবজির জমি ও ৫ হেক্টর কাঁচা মরিচের ক্ষেত। পাট কাটা হয়েছে প্রায় ৩শ ৩০ হেক্টর জমির। 

সূত্র জানায়, বর্ষায় বেশি ক্ষতি হয়েছে নিমাইচড়া, হাণ্ডিয়াল, বিলচলন ও গুনাইগাছা ইউনিয়নে। এ তিন ইউনিয়নের বেশিরভাগ আবাদি জমি এখন পানির নিচে।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান রশীদ হোসাইনি বলছেন, পানি কমতে শুরু করেছে। পানি সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতি কেমন বুঝা যাবে।

কেএসটি

আরও পড়ুন