নারায়ণগঞ্জে আবারো একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে আটক করেছে র্যাব-১১। এ সময় তার মোবাইল থেকে একাধিক রেকর্ডিং জব্দ করে র্যাব।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় ফতুল্লার ভুঁইগড় এলাকার দারুল হুদা মহিলা মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত অধ্যক্ষের নাম মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে জসিম (২৯)। তিনি নেত্রকোনার লক্ষ্মীগঞ্জ কাওয়ালী কোনা গ্রামের মো. ওয়াজেদ আলীর ছেলে এবং দারুল হুদা মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক।
অভিযান শেষে ঘটনাস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব জানান, ‘সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে মাদ্রাসা ও স্কুলে ধর্ষণের ঘটনা প্রচারিত হতে দেখে এ মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক আমাদের কাছে অভিযোগ করে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এ মাদ্রাসায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করি এবং প্রমাণস্বরূপ তার মোবাইল থেকে একাধিক এ ধরনের ঘটনা সংশ্লিষ্ট রেকর্ডিং উদ্ধার করি।’
‘প্রাথমিকভাবে তথ্যপ্রমাণ ও মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে তার বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা ভুক্তভোগী চারজনের পরিচয় উদ্ধার করতে পেরেছি। ভুক্তভোগী ছাত্রীদের বয়স ১০ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। তবে এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।’
তিনি আরো জানান, আটককৃত অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান ৬ বছর আগে ফতুল্লা ভুঁইগড় এলাকায় দারুল হুদা মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এ মাদ্রাসার একটি অংশে তিনি তার পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। অপর একটি অংশে মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি।
এ ঘটনায় তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট আইনে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে কোম্পানি কমান্ডার জানান। তবে অভিযুক্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানের দাবি তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।
এর আগে ৪ জুলাই ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় ১২ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আল আমিন ও ২৭ জুন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অক্সফোর্ড বেসরকারি স্কুলের ২০ জনেরও অধিক ছাত্রীকে ৪ বছর ধরে যৌন হয়রানিসহ ধর্ষণের অভিযোগে সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম সরকার ওরফে আশরাফুল ও প্রধান শিক্ষক জুলফিকার ওরফে রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১।
এনআই