• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০১৯, ০৯:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩১, ২০১৯, ০৯:২৬ পিএম

চুয়াডাঙ্গায় দুজনের যাবজ্জীবন, একজনের ১৪ বছর কারাদণ্ড

চুয়াডাঙ্গায় দুজনের যাবজ্জীবন, একজনের ১৪ বছর কারাদণ্ড
আবুল কালাম হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি  -  ছবি : জাগরণ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আবুল কালাম হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জীবননগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের গনি মন্ডলের ছেলে আব্বাস আলী ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দিগড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আলী আহম্মেদ।

বুধবার (৩১ জুলাই) বিকালে চুয়াডাঙ্গার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ রাতে জীবননগর উপজেলার পাকা গ্রামের আবুল কালামকে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুনও গুরুতর আহত হন। ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই জাকির হোসেন অজ্ঞাত আসামিদের নামে জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবননগর থানার উপপরিদর্শক মকবুল হোসেন তদন্তকালে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই ঘাতক আলী আহম্মেদ ও আব্বাস আলীকে ওই বছরের ১৯ মে গ্রেফতার করেন। পরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আলোচিত এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর পুলিশ দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত এ মামলায় মোট ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত আব্বাস আলী ও আলী আহম্মেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

এদিকে স্বর্ণ পাচারের মামলায় আলামিন সরকার নামের এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) বিকালে চুয়াডাঙ্গার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক রবিউল ইসলাম এই রায় প্রদান করেন।

২০১৮ সালের ১১ মার্চ সকালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট আলামিন সরকারকে আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। পরে তার স্যান্ডেলের ভেতরে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা ৪টি স্বর্ণের বার ও ১৪টি স্বর্ণের গহনা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় যশোর বেনাপোল বন্দরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় স্বর্ণ পাচারের একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা থানার উপপরিদর্শক রাজীব আল রশিদ তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ জুন আলামিন সরকারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

স্বর্ণ পাচারের এ মামলায় আদালত মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আলামিন সরকারকে অভিযুক্ত করেন। রায়ে আদালত তাকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের কথা উল্লেখ করেছেন।

রায় ঘোষণার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ মন্ডলের ছেলে দণ্ডিত আলামিন সরকার পলাতক ছিলেন।

এনআই

আরও পড়ুন