• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০১৯, ১২:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৭, ২০১৯, ১২:০৭ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ে ১৪ হাজার খামারে প্রস্তুত ৮০ হাজার পশু

ঠাকুরগাঁওয়ে ১৪ হাজার খামারে প্রস্তুত ৮০ হাজার পশু

আসন্ন কোরবানি উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ের খামারিরা গরু মোটাতাজাকরণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরইমধ্যে জেলার প্রায় ১৪ হাজার খামারে গবাদি পশু মোটা তাজাকরণ প্রক্রিয়া এখন শেষ পর্যায়ে। প্রায় ৮০ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। 

প্রাণী সম্পদ বিভাগ বলছে, জেলার চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত পশু অন্যান্য জেলার চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।
আগামী ১২ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলমানদের এই উৎসব পালন এবং পশু কোরবানির জন্য জেলায় প্রায় ৭৫ হাজার গরু ছাগল ও ভেড়া প্রয়োজন। এ উপলক্ষে জেলায় গড়ে উঠেছে ১৩ হাজার ৮শ খামার।ছোটবড় এসব খামারে খামারীরা ৫/৬ মাস পূর্বে গরু কিনে নিয়ে মোটাতাজাকরণ করে আসছে। ঘাস, খড়, খৈল, মাদগুড় ইত্যাদি খাইয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে জেলার খামার গুলোতে। এসব গরুর মধ্যে শাহীওয়াল, ব্রামা ও ফ্রিজিয়ান জাতের গরু অন্যতম। আরো রয়েছে ব্লাক বেঙ্গল ও যমুনাপাড়ি জাতের ছাগল ও দেশি মহিষ। দেশীয় পদ্ধতি ঘাস, লতাপাতা, কারী, ধান, গম ও ভুট্টার ভুষি ও গুড়া খাওয়াচ্ছেন খামারিরা। 

গত বারের চেয়ে এবার গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় খামারিদের অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে গরু লালন পালন করতে বলে জানান হামিদুর রহমান নামে একজন খামার কর্মী। তারপরেও বর্তমান গরু-ছাগলের বাজার দর স্থিতি থাকলে এবং ভারতীয় গরু না আসলে লাভের মুখ দেখবেন বলে জানায় পশু পালনকারীরা।  তবে ঈদের আগে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু বাজার দখল করলে ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও খামারি তৈমুর রহমান। 

অবশ্য জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলতাফ হোসেন অবৈধভাবে ভারতীয় গরু আমদানি রোধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দাবি করে বলেন, অবৈধভাবে ভারতীয় গরু আমদানি রোধ করা গেলে জেলার খামারিরা তাদের পালিত পশুর দাম পাবেন। আর দাম পেলেই কৃষকরা লাভবান হবেন। আর লাভবান হলেই জেলায় দিন দিন বাড়বে পশুর খামার।

তিনি আরো বলেন, এবার জেলায় ৭৫ হাজার পশুর চাহিদার বিপরীতে ৮০ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আশা করছি প্রতি জন কোরবানিদাতারা তাদের পছন্দমত পশুটি কোরবানি দিতে পারবেন।

কেএসটি

আরও পড়ুন