কুড়িগ্রামে বন্যাকবলিত এলাকায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণে সরকারি উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে ভাসমান আমন ধানের বীজতলা। জেলা সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকার কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী সড়কের পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে কলাগাছের ভেলায় কাদামাটির মিশ্রণে ভাসমান পদ্ধতিতে তৈরি করা আমন ধানের এই বীজতলা দেখা যায়।

জানা যায়, কুড়িগ্রামে বন্যাকবলিত এলাকায় গতবারের মতো উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে বন্যার্ত এলাকার কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও কৃষকরা যেন বন্যার কারণে বীজতলা তৈরিতে কালক্ষেপণ না করেন, সেই লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে আমন ধানের ভাসমান বীজতলা, যাতে কৃষকরা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে পারেন। ভাসমান বীজতলা পদ্ধতিতে  জমিতে চারা রোপণের উপযোগী হতে সময় লাগে ২০-২৫ দিন।

স্থানীয় কৃষক মোহাম্মদ আলী (৬৫), মজিবর রহমান (৬০), আজিবর (৫০) বলেন, ভাসমান বীজতলা তৈরির পদ্ধতি দেখে আমরা খুবই আনন্দিত। এতে করে আমরা শিখতে পারছি কীভাবে বন্যা চলাকালে সময় নষ্ট না করে বীজতলা তৈরি করা যায়। আমরা পরবর্তী সময়ে বন্যা আক্রান্ত হলে এই পদ্ধতি অনুযায়ী বীজতলা তৈরি করে চাষাবাদ অব্যাহত রাখব।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিলন চৌধুরী বলেন, আমরা বিগত বারেও এই ভাসমান পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করেছিলাম। এটা তৈরির উদ্দেশ্য হলো যাতে বন্যা চলাকালে কৃষকরা এই পদ্ধতি অনুসরণ করে চাষকাজ অব্যাহত রাখতে পারেন।

এনআই