• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০১৯, ০৬:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১০, ২০১৯, ০৬:৪৫ পিএম

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ৪৫ কিলোমিটার যানজট

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ৪৫ কিলোমিটার যানজট
বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাশে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন  -  ছবি : জাগরণ

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাশ থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত প্রায় ৪৫ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে খুবই ধীরগতিতে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ। পুলিশ রাস্তায় যানজট নিরসনে কাজ করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের পাকুল্লা, বাঔখোলা, করটিয়া বাইপাস, নগর জালফৈই, রাবনা বাইপাস ও এলেঙ্গা এলাকায় তীব্র যানজট রয়েছে। উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনগুলো দাঁড়িয়ে আছে। কিছুটা সামনে এগোচ্ছে, আবার থমকে যাচ্ছে। ঈদের আনন্দ প্রিয়জনের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে ঘরমুখো মানুষের কষ্টের শেষ নেই। অনেকে বাস কিংবা ট্রাকের ছাদে ধুলা ও প্রচণ্ড রোদে পুড়ে বাড়ি ফিরছেন। রাস্তায় গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে তাদের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অনেকের ভাড়া করা যান বিকল হয়ে ভোগান্তি আরো বেড়ে গেছে। মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের চেয়ে ট্রাকের পরিমাণ বেশি লক্ষ করা গেছে।

ঢাকা থেকে গোপালপুরগামী রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ভোরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বের হয়েছি। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে এলেঙ্গা এসেছি। পথে বাঔখোলা নামক স্থানে প্রায় ২ ঘণ্টা আটকে ছিলাম।’

ট্রাকের ছাদে থাকা মায়া বেগম নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিক বলেন, ‘রাইতে সাভার থেকে রওনা হইছি। দুপুরে এলেঙ্গায় জ্যামে আছি। জানি না কখন বাড়ি যাইতে পারব।’

রাবনা বাইপাসে আটকে পড়া উত্তরবঙ্গগামী রবিউল ইসলাম নামের এক বাসচালক বলেন, ‘অন্য বারের থেকে এবার মনে হয় যানজট বেশি হইতাছে।’

টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর এশরাজুল ইসলাম বলেন, উত্তরবঙ্গের দিকে সড়কের ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যানবাহন থাকায় সিরাজগঞ্জ প্রান্তে গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে এগোতে পারছে না। ফলে ৮ বারে ২ ঘণ্টা ২৯ মিনিট সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকে। সেই সাথে কিছু গাড়ি রাস্তায় বিকল হয়। এ কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুতে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায়ে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অধীন বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ হাজার ৩৩৭টি যানবাহন পারাপার এবং ২ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে, যা এ-যাবৎকালের সর্বোচ্চ পরিমাণ। তিনি আরও বলেন, সিরাজগঞ্জ প্রান্তে কড্ডা মোড়, হাটিকমরুল ও নকলা এলাকায় গাড়ি এগোতে না পারায় সেতুতে টোল আদায় কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ঢাকার চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের কাজ শেষের দিকে। যানবাহনের চালকরা চার লেনের সুবিধা পাচ্ছেন। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলাকা দুই লেন। তাই চার লেনের গাড়ি দুই লেনের সড়কে ধারণক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। এ ছাড়া এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় খানাখন্দের ফলে যানবাহনের গতি কমে যাচ্ছে। ফলে যানজট ও ধীরগতি হয়।

এনআই

আরও পড়ুন